বগুড়ার আদমদীঘিতে রামপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লের মাঠে মৌসুমের বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক সপ্তাহে ধরে জমে থাকা হাঁটু পানিতে পরিনত হয়েছে বিদ্যালয়ের মাঠ। ফলে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধসহ যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভোগান্তি দূরীকরণে মাঠের এ জলবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান চেয়েছেন গ্রামবাসী।
জানা যায়, আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামে অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এ বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর প্রায় ২শতাধিক ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে একটি মাঠ। বর্ষার মৌসুমে এ মাঠের চারপাশে বৃষ্টির পানি জমে যায়। পানি বের হবার কোন পথ না থাকায় কয়েকমাস ধরে মাঠে পানি জমে থাকে। এতেকরে ছাত্র-ছাত্রীদের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের এই নিচু মাঠে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় হাঁসেরা খেলা করছে। মাঠের পাশে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন কয়েক মাস ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। যে কারনে পানি সব সময় মাঠে জমে থাকে। স্থানীয়রা বলছেন পূর্বে ড্রেনটি সচল থাকায় বর্ষার মৌসুমেও পানি জমে থাকতো না। অদৃশ্য কারনে ড্রেনটি বন্ধ হয়ে আছে। ড্রেনের কাজটি পুনরায় সংষ্কার করবেন বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। এ মাঠে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও এলাকার ছেলেরা খেলাধুলা করতো। এক সময় এখানে ক্রিকেট-ফুটবল টিমের খেলা হতো তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন খেলতে আসতো। যা কয়েক বছর ধরে এমন দৃশ্য আর চোখে পড়েনা। এ মাঠের যে জৌলুস ছিলো তা হারিয়ে গেছে এমন টাই বলছেন স্থানীয়রা।
অবিভাবক আরিফুল ইসলাম জানান, আমার মেয়ে এ স্কুলের শিক্ষার্থী মাঠে এক হাঁটু পানি জমে থাকায় যাতায়াতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ পানি জমে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরাও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এই মাঠের স্থায়ী সমাধানের দাবী জানাই।
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, এ মাঠের পাশে আমারা দুটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। বর্ষার মৌসুমে মাঠে পানি জমে থাকায় যাতায়াতে চরম অসুবিধায় পড়তে হয়। ড্রেন বন্ধ থাকায় পুরো বর্ষার মৌসুম পানি জমে থাকে। মাঠের এমন দুর্দশা আগে ছিলোনা।
রামপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়লের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শ্রী লোকনাথ জানান, মাঠ নিচু থাকায় এমন সমস্যা হচ্ছে। এ মাঠের পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য পূর্বের একটি ড্রেন ছিলো সেটা এখন বন্ধ। ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে খুব শীগ্রই একটি ড্রেনের ব্যবস্থা করে দিবেন। এছাড়াও মাঠ সংষ্কারের জন্য সরকার থেকে ২লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে মাটি ভরাটসহ যাবতীয় কাজ করে স্থায়ী একটা সমাধান করা হবে। এ ব্যাপারে আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আনন্দবাজার/শহক