ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধনীর সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কর ফাঁকির পরিমাণ

দেশে একদিকে যেমন ধনীর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে ঠিক বাড়ছে কর ফাঁকি দেওয়ার পরিমাণও। এবং এটি অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই। যাদের কর দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে, তাদের করের আওতায় আনতে হবে। তবে আগের চেয়ে কর প্রদানের হার অনেকটা বেড়েছে। এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা।

মো. ফোরকান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর কমিশনার মো. বজলুল কবির ভূঞা ও অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।

মো. বজলুল কবির ভূঞা বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে জিডিপির অনুপাতে কর দেওয়ার হার অনেক কম। তবে এখানে কর অনুপাত কম হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। একদিকে দেশে ধনীর সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কর ফাঁকি দেওয়ার পরিমাণও বাড়ছে।

ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ১৯০ দেশের মধ্যে ডুইং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশ ১৮৬ নম্বরে। কেন ডুইং বিজনেস সূচকে এত পেছনে? এখানে সমস্যা হচ্ছে ব্যবসা করার নিয়ম-নীতি। প্রত্যেকটি ব্যবসার শুরু যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা থেকে বের হওয়াও। আর এখানে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে ব্যবসা থেকে বের হওয়ার পলিসি। কারণ, কোনো কারণে যদি ব্যবসায় লোকসান হয়, সেক্ষেত্রে ব্যবসা বন্ধ বা ব্যবসা করার জন্য যে চুক্তি হয়েছে সেটি নিষ্পত্তি করতে হয়।

কারণ, বিনিয়োগে কোনো লাভ হচ্ছে না। কিন্তু ব্যবসা থেকে বের হতে বছরের পর বছর লেগে যায়। শুধু এখানে আশার আলো দেখা যাচ্ছে, ১০০ অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে ১১টি বেসরকারি খাতে করার জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে এবং সেগুলোর অগ্রগতি হচ্ছে। তাই বিনিয়োগ বাড়াতে হলে পুরোনো ব্যবস্থাপনার সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন