ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুনর্বহালের নির্দেশনা উপেক্ষিত

পুনর্বহালের নির্দেশনা উপেক্ষিত

করোনায় যৌক্তিক কারণ ছাড়া ছাঁটাই কর্মীদের পুনর্বহালে আরও কঠোর হতে হবে

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা চাকরি ফেরত না পেলে আইনি ব্যবস্থা

সিরাজুল ইসলাম, মুখপাত্র, বাংলাদেশ ব্যাংক

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি দেশে দেশে শুধু অর্থনৈতিক মন্দাই সৃষ্টি করেনি, হাজার হাজার মানুষকে কর্মচ্যুত। বিভিন্নখাতে চাকরিহারা হয়েছে লাখ লাখ কর্মী। করোনাকালে বাংলাদেশের ব্যাংকখাত থেকে ছিটকে পড়েছেন বহু কর্মকর্তা আর কর্মচারী। এক হিসাব মতে, শীর্ষ সারির ব্যাংকগুলো থেকে করোনাকালে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছেন। অনেকে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন, অনেকে কর্তৃপক্ষের চাপে পদ ছেড়েছেন। অভিযোগ উঠেছে চাকরিহারানো এসব কর্মকর্তা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বাধ্য হয়ে তারা চাকরি ফেরত পেতে রাজপথে নেমেছেন।

গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেছেন চাকরিচ্যুত ব্যাংকাররা। তারা চাকরিচ্যুত বা পদত্যাগে বাধ্য হওয়া কর্মীদের বাংলাদেশে ব্যাংকের সার্কুলারের আলোকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা বলছেন, করোনাকালে কর্মী ছাঁটাই না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক তাদের অনেক কর্মীকে চাকরি থেকে অন্যায়ভাবে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। আবার কাউকে কাউকে ছাঁটাইও করেছে।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যাচ্ছে, করোনায় বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে প্রায় সাত হাজার কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এতে সামাজিকভাবে তারা পিছিয়ে পড়েছেন। চরম আর্থিক সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দীর্ঘদিন চাকরিহীন অবস্থায় পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেকেই লেখাপড়ার ক্ষতি হবে জেনেও তাদের সন্তানদের পরিবারের সঙ্গে গ্রামে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। বাঁচার তাগিদে জমি-জমা বিক্রিও করেছেন অনেকে।

আন্দোলকারীদের দাবি, করোনাকালে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক তাদের বিভিন্ন স্তরের অনেক কর্মকর্তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন। পদত্যাগ করতে বাধ্যকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সব ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ও কর্মকর্তারা জানান, সবকিছুই কর্তৃপক্ষের ইচ্ছায় হয়েছে। তাদের করার কিছুই নেই। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকে কয়েকটি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থাদির কারণে তালিকায় থাকা বাকি কর্মকর্তারা চাকরিচ্যুতি থেকে রক্ষা পান বলেও জানান তারা।

অভিযোগ উঠেছে, পদত্যাগে রাজি না হলে চাকরি থেকে বহিষ্কার, টার্মিনেশন সার্ভিস বেনিফিট থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দেয়া হয়। হুমকির পাশাপাশি দীর্ঘ সময় একাকি রুমে বসিয়ে রাখা, কারও কারও ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন রেখে দেয়া ও প্রচণ্ড মানসিক চাপ প্রয়োগের ঘটনাও ব্যাপকভাবে ঘটেছে। সর্বশেষ বাধ্যতামূলক পদত্যাগ ও টার্মিনেশনের মাধ্যমে নিরীহ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ইচ্ছামতো ব্যাংক পরিচালনা নতুন নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এমন করা হয়েছে বলে মনে করছেন আন্দোলনকর্মীরা।

মিউচুয়াল ব্যাংকের আশুলিয়া ব্রাঞ্চের সাবেক ম্যানেজার রিয়াদ খান দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, আমি চাকরিহীন অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছি। বাচ্চাদের লেখাপড়া করাতে পারছি না। বৃদ্ধ বাবা-মার চিকিৎসা চালাতে পারছি না। সমাজের কাছে এখন মুখ দেখাতে পারছি না। সবার মনে একটাই প্রশ্নেআমি কেনো চাকরিচ্যুত হলাম। সবাই মনে করছে দুর্নীতি করে চাকরি হারিয়েছি। অথচ আমি কোনো অপরাধ করিনি। আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। আমার বিরুদ্ধে কখনই কোনো অভিযোগ তুলতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আমি যতদিন কাজ করেছি সফলতার সাথে করেছি। তবুও চাকরিচ্যুত হলাম। কেনো চাকরি হারালাম আজও তা অজানা।

রিয়াদ খান বলেন, আমার সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকও বিষয়টি জানে। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতাও পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার আশ্বস্ত করেছে। চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য সব কিছুই করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। তাদের প্রতি আস্থা এবং সম্মান অতিতে ছিলো বর্তমানেও আছে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা একাধিকবার অভিযোগ করেও কেনো ফল পাইনি। তদন্ত করে সত্যতার প্রমাণ পেলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তারা বলছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়েছে কিন্তু ব্যাংকগুলো তা মানছে না। এ অবস্থা হলে আমরা কার কাছে যাবো? কোথায় গেলে বিচার পাবো?

আইএফআইসি ব্যাংকের ঘোড়াশাল ব্রাঞ্চের সাবেক সিনিয়র অফিসার এসকে এমডি আইউবুর রহমান দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, আমাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আমার সাথে চরম অন্যায় করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাকে পূনর্বহালের সার্কুলার দেওয়ার পরেও ব্যাংক তা বাস্তবায়ন করছে না। আমি পরিবার নিয়ে খুব বেশি বেকায়দায় রয়েছি। ছেলে মেয়ের পড়াশোনা, সংসারের ভার বহন করা আমার পক্ষে অসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। মানসিকভাবে খুব বেশি অসুস্থতা বোধ করছি। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অন্যদিকে চাকরি হারিয়ে এখন দিশেহারা প্রায়। পরিবার ও সমাজে মুখ দেখানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। সবাই ভাবছে হয়তো কোনো দুর্নীতি করে চাকরি হারিয়েছি। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। বারবার বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেও এখনো কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে এখন রাস্তায় দাঁড়িয়েছি।

আইএফআইসি ব্যাংকের এফসিও আবদুর রাকিব দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, আমার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চাকরি হারিয়ে আমি এখন দিশেহারা। আমার মেয়ে মেডিকেল কলেজে পড়ে। ছোট দুই ছেলেও পড়াশুনা করছে। এখন তাদের পড়াশোনার খরচ মেটাতে পারছি না। খুবই কষ্টের মধ্যে আছি। এ বয়সে কোথাও চাকরি পাওয়ার সুযোগ নেই। এখন আমার যদি বয়স থাকতো বা অন্য কোনো জায়গায় যদি নিয়োগের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে অন্তত সংসারটা চলতো। আমার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। একটা অভিযোগ থাকলেও চাকরিচ্যুতির বিষয়টি মেনে নিতে পারতাম। সামাজিকভাবে এখন মূল্যহীন একজন মানুষ আমি। সবাই ভাবছে আমি ব্যাংকের দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলাম, যে কারণে চাকরি হারিয়েছি। এখন প্রতিনিয়ত সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। সত্যটা জানে না, জানতেও চায় না, বুঝতেও চায় না। এখন সংসারটাও এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। কারো কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। আমার বয়স এখন শেষ পর্যায়ে। আমি এখন আর আমাকে নিয়ে ভাবি না। কিন্তু আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ তো আছে। তাদের ভবিষ্যৎ ধুলোয় মিশে যাচ্ছে।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের আশুগঞ্জ ব্রাঞ্চের সাবেক ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, আমাকে নানাভাবে হয়রানি ও হুমকি-ধমকির মাধ্যমে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। এখনো আমার আট বছর চাকরির মেয়াদ রয়েছে। আপনারা চাইলে আমি সকল ডকুমেন্ট দেখাতে পারি। আমাদেরকে সরিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেয়া হয়েছে। যতটুকু জানি প্রতিটি নতুন নিয়োগে ঘুষবাণিজ্য হয়েছে। তারা অন্তত বলুক যে আমাদের যোগ্যতা নাই। অযোগ্যতার প্রমাণ যদি তারা দিতে পারে চাকরির জন্য আর জীবনেও আবেদন করবো না। রাস্তায় নামবো না।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের চাকরিচ্যুত এক কর্মকর্তা দৈনিক আনন্দবাজারকে বলেন, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে ব্যাংকে ডেকে নেন। সেখানে যাওয়ার পর মানবসম্পদ বিভাগ থেকে বলা হয়, ভাই আপনি অনেক ভালো মানুষ। আপনি অন্য কোনো ব্যাংক দেখেন। এখানে আপনি আর চাকরি করতে পারছেন না। তখন আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার কোনো অপরাধ আছে কিনা? কোন অপরাধে আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে? তখন তারা বলেছিল, আপনার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। তবে আমরা এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না। আপনি দয়া করে চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। তখন আমি বলেছিলাম কেন পদত্যাগ করবো? এখন যদি চাকরি ছেড়ে দিই তাহলে পরিবারের ভরণ-পোষণ কে দিবে? আমার সংসার চলবে কীভাবে? আমার এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বলেছিলেন, আপনি ১৮ বছর মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চাকরি করেছেন। আপনি সম্মানের সঙ্গে ছিলেন। এখন যদি আপনি কোনো অভিযোগ বা কথা বলেন তাহলে আপনার সম্মান থাকবে না। আপনার ব্যাংকিং সেক্টরে অনেক সুনাম আছে। আপনি অন্য কোনো ব্যাংকে চলে যেতে পারবেন। পদত্যাগ করে চলে যান, তা না হলে আপনার মান-সম্মান থাকবে না। তখন আমি বাধ্য হয়ে সম্মান বাঁচানোর জন্য চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছি।

চাকরিচ্যুত সেই কর্মকর্তা বলেন, যমুনা ব্যাংকের দুজন লোক এই কাজ করেছেন আমি তাদের নাম বলতে চাই না। কোনো অজুহাত না থাকা সত্ত্বেও তারা কর্মীদের ছাঁটাই করছেন। অন্যদিকে টাকা খেয়ে অর্থের বিনিময়ে সমানে নতুন নিয়োগ দিচ্ছেন। বিষয়টি অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে রয়েছে। আমরা ব্যাংকিং সেক্টরে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করেছি কিন্তু আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছি কিন্তু সুরাহা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করছি ব্যাংকে বাঁচাতে হলে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। ব্যাংককে যারা ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

এদিকে, ব্যাংকারদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি বেসরকারি খাতের ৬টি ব্যাংকে কর্মী ছাঁটাই বিষয়ে বিশেষ পরিদর্শন করে। সেখানে দেখা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে গেল বছরের আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই ব্যাংকগুলোর মোট ৩ হাজার ৩১৩ জন কর্মকর্তা ‘স্বেচ্ছায়’ চাকরি ছেড়েছেন। এর মধ্যে বয়স থাকার পরও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দেখানো হয়েছে ৩ হাজার ৭০ জনকে। এছাড়া ২০১ জনকে অপসারণ, ৩০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ১২ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করা হয়েছে। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ দেখানো বেশিরভাগই জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় পদত্যাগের জন্য মৌখিকভাবে তাদের সময় দেওয়া হয়েছিল। ওই তারিখের মধ্যে পদত্যাগ না করলে কোনো সুবিধা দেওয়া হবে না এমন ভয় দেখানো হয়। এ রকম প্রেক্ষাপটে বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কেউ দণ্ডনীয় অপরাধ করলে সেটা ভিন্ন। কিন্তু করোনার মধ্যে যৌক্তিক কারণ ছাড়া যাদের ছাঁটাই বা পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা উচিত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও কঠোর হতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপালন করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে পরিদর্শন করা হয়েছে। আমাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুর্নবহালের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি চাকরি ফেরত না পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন