প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের উদ্যেগে প্রতিবারের মতো এ বছরও ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৯’ উদযাপিত হয়েছে । এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
তিনি বলেন, অভিবাসী কর্মীরা দেশের গর্ব। বিপুল সংখ্যক অভিবাসী জনগোষ্ঠী পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে তাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে । তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তারাও গর্বিত অংশীদার।
রাষ্ট্রপতি জানান,বাংলদেশ বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে । বাংলদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত । প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজারে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল কাজে লাগাতে হবে ।
স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কারিগরি এবং প্রযুক্তি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলতে গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, অভিবাসীরা প্রবাসে বাংলাদেশের ভ্রাম্যমাণ কূটনীতিকের মতো। ফলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে গন্তব্য দেশের ভাষাজ্ঞান এবং সংস্কৃতি জানার পাশাপাশি সে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং নিজ দেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে হবে।
অভিবাসী কর্মীরা যেন দেশে-বিদেশে কোথাও কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই জীবিকার সন্ধান, আর্থসামাজিক, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অনেক কারণেই মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে দেশ থেকে বিদেশে। ফলে মানব সভ্যতার বিকাশে অভিবাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। গন্তব্য দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন ছাড়াও নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অভিবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। অভিবাসীরা বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষের মাঝে মেলবন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীকে করেছে বৈচিত্রময় ও সুন্দর ।
আনন্দবাজার/এফআইবি