দিনাজপুরের বিরামপুর-নবাবগঞ্জ সড়কের কোল ঘেঁষে ডোবায় ফোটা লাল পদ্মফুলের সমারোহ সহজেই নজর কাড়ছে পথচারীদের। গাড়ী কিংবা মটরবাইক থামিয়ে উপভোগ করছে প্রকৃতির ফোটা পদ্মফুলের সৌন্দর্যের।
বিরামপুর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পূর্বে নবাবগঞ্জ সড়কে কুচামোড়ে রাস্তার পার্শ্বেই একটি ডোবা। সেখানেই ফুটেছে প্রকৃতির নিয়মে ছোট-বড় আকারের শত-শত লালপদ্ম। সবুজ পাতার উপরে ফুটে থাকা লাল ফুল আর ডোবা দেখে মনে হবে কোনো একটি পার্কের ভেতরের দৃশ্য।
এমন দৃশ্য কেড়ে নিয়েছে এলাকাবাসীসহ পথচারিদের মন। আবার বিরামপুর-নবাবগঞ্জ সড়কে চলা যানবাহনের যাত্রীদেরও নজর কাড়ছে এ পদ্মডোবা।
পদ্ম সাধারণত সাদা, নীল আর লাল হয়ে থাকে। তবে ছোট-বড় আকৃতির লাল পদ্মফুলগুলো দেখে প্রাণজুড়িয়ে যায় সবার। ফুলগুলো সকাল হলেই তাদের পাপড়ি ছড়াতে থাকে। আবার দুপুরের পর থেকেই নিজেদের গুটিয়ে নেয়। দেখে মনে হয় যেনো কোনো খেলা। তাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফুলগুলোর লীলাখেলা দেখতেও ছুটে আসেন কেউ কেউ।
বিরামপুর ডিগ্রি কলেজ পড়ুয়া আকাশ রহমান বলেন, এ গ্রামেই আমার বাড়ি। অনেক দিন যাবৎ এ ডোবায় পদ্মগুলো ফুটতে দেখা যায়। সকাল হলেই ফুলগুলোকে দেখতে আসি।
মোটরসাইকেল আরোহী মোতালেব হোসেন জানান, আমি নবাবগঞ্জ উপজেলায় চাকরি করি, প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আমাকে আসা-যাওয়া করতে হয়। সকালে যাবার সময় ডোবায় লাল পদ্মফুলগুলো ফুটে থাকে, একটু দাঁড়িয়ে দেখে যাই। তবে ফেরার পথে পাপড়িগুলো মেলা অবস্থায় আর দেখা যায় না।
ডোবার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোর রনি বলে, ফুলগুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। ডোবায় নামার চেষ্টা করছি। তবে, এখানকার লোকজন নামতে দেয় না।
কুচামোড়ের স্থানীয় দোকানদার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় সারা বছর আমাদের এ ডোবায় লাল পদ্মফুল ফোটতে দেখা যায়। ফুলগুলো রাস্তর দু’পার্শ্বের সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। আমরা এ সৌন্দর্য্য নষ্ট হতে দেই না। গ্রামসহ বাইরের ছেলেরা ফুলগুলো পানিতে নেমে ছেড়ার চেষ্টা করে। তবে আমরা সবসময় খেয়াল রাখি, যেনো কেউ ডোবাতে নেমে ফুলগুলো ছিঁড়তে না পারে।