ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ভারতে তুলা উৎপাদন কমতে পারে

ভারতের অন্যতম তুলা উৎপাদনকারি রাজ্য গুজরাটে পোকার উপদ্রব বেড়েই চলছে। তাই এ রাজ্যে এই মৌসুমে তুলার উৎপাদন কমতে পারে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানাসহ অন্যান্য রাজ্যে এবার উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি আসতে পারে। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ভারতের তুলা উৎপাদন ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫০ হাজার বেল (প্রতি বেলে ১৭০ কেজি) হতে পারে বলে জানিয়েছেন কটন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিএআই)।

১ অক্টোবর থেকে ভারতে প্রতি বছর তুলা উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়। চলে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। সিএআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ মৌসুমে গুজরাট রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাত এবং মথের উপদ্রবের কারণে উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যেতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য বলছে, আগের প্রাক্কলনের তুলনায় এ সময়ে উৎপাদন চার লাখ বেল কমে ৯৬ লাখ বেলে দাঁড়াতে পারে। গুজরাটের মতো উৎপাদন কমে যেতে পারে পাঞ্জাব ও রাজস্থানেও।

সিএআইয়ের সভাপতি অতুল গনাত্রা জনান, ভারি বৃষ্টিপাত এবং পোকার উৎপাতের কারণে গুজরাটে এবার তুলা আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এ রাজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ কৃষক গাছ উপড়ে ফেলে অন্যান্য লাভজনক ফসল চাষ করেছেন।

কিন্তু গুজরাট রাজ্যে তুলার উৎপাদন কমে গেলেও উৎপাদন প্রবৃদ্ধি দেখা দিতে পারে মহারাষ্ট্র এবং তেলেঙ্গানায়। সিএআই মনে করছে, রাজ্য দুটিতে এ মৌসুমে তুলার উৎপাদন আগের প্রাক্কলনের তুলনায় তিন লাখ বেল করে বাড়তে পারে। সেই হিসাবে ২০১৯-২০ মৌসুমে রাজ্য দুটির উৎপাদন যথাক্রমে ৮৩ লাখ ও ৫১ লাখ বেলের মধ্যে থাকতে পারে। এছাড়া কর্ণাটকে উৎপাদন ৫০ হাজার বেল বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার চাহিদা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। যার ফলে চাপের মধ্যে রয়েছে তুলার বাজার। এ অবস্থায় ভারতীয় তুলা আন্তর্জাতিক বাজারে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি মাসের ২ থেকে ৫ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে ইন্টারন্যাশনাল কটন অ্যাডভাইজরি কমিটির (আইসিএসি) ৭৮তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ অধিবেশন থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতির শ্লথগতির কারণে ২০১৯-২০ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী তুলার ব্যবহার কমে আসবে।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন