মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিরা বাড়িতে সংরক্ষণকৃত প্রতিমণ আলু বিক্রি করছেন ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা দরে। আলুর পাইকারি বাজার বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা লোকশানের কিছুটা কাটিয়ে উঠার সম্ভাবনা দেখছেন। গত ১৫ দিনে প্রতিমণে আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২শ’ টাকা। কৃষক বাড়িতে রাখা ভালো মানের আলুর মণ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৭শ’ টাকা দরে। বাড়িতে রাখা আলু বিক্রি শেষে আগামী শ্রাবণ মাসের শেষের দিকে হিমাগারের আলু বিক্রি শুরু করবেন। স্থানীয় খুচরা হাটবাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
এর আগে দামের আলু সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা দরে প্রতিমণ আলু বিক্রি করা হচ্ছে। এ অঞ্চলে আলু চাষীরা হিমাগারের পাশাপাশি অতিরিক্ত আলু বাড়িতেও সংরক্ষণ করে থাকেন। মৌসুমের শুরুতেই অসময়ের বৃষ্টি, বৈরী আবহাওয়া, কম ফলন ও আলুর দাম না পাওয়া নানা কারণেই শতশত আলু চাষী লোকশানের ভারে চোখে মুখে দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে উঠেন।
বীরতারা এলাকার জাহাঙ্গীর জানায়, প্রথম দিকে সাড়ে ৩শ’ টাকা দরে গোলার আলু বিক্রি করছেন। তার গোলায় প্রায় ৩০ শতাংশ আলু পঁচে গেছে। আটপাড়ার মো. রমজান জানান, এলাকা ভিত্তিক গৃহস্তের আলুর মান ভালো হলে সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা মণ আলু কেনা বেচা হচ্ছে। কুকুটিয়া এলাকার মো. নিজাম বেপারী জানান, আলুর দাম বাড়ছে। ধারনা করা হচ্ছে আলুর পাইকারী বাজার আরো বাড়বে। এখন কৃষকের গোলার আলু কিনছি। বাড়িতে রাখা আলু বিক্রি শেষের দিকে। এসব খাবার আলু শ্যামবাজার, কাওরান বাজার, সাভার, রাজশাহী, খুলনার আলু পাইকারি বাজারে পাঠাচ্ছি। শ্রাবণ-ভাদ্র মাস থেকে হিমাগারের আলু খোলা বাজারে বিক্রি শুরু হবে।
স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় ২ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। আলু চাষের শুরুতে টানা বৃষ্টির পানিতে আলুবীজ রোপণকৃত প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে। এতে শতশত আলু চাষির স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। স্থানীয় কৃষকরা জানায়, আলুর বাজার উর্ধ্বগতির কারণে কিছুটা হলেও লোকশানের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারবেন ক্ষতিগ্রস্তরা।