স্পেনের জাতীয় জাদুঘর ‘রেইনা সুফিয়া’ পরিচলানা কমিটির আমন্ত্রণে ‘প্রবাসে আনন্দের একদিন’ শিরোনামে এক উৎসবে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রবিবার দেশটির রাজধানী মাদ্রিদে অবস্থিত জাদুঘরটির পার্কে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ‘ভালিয়েন্তে বাংলা’সহ অন্যান্য দেশের একাধিক সংগঠন প্রতিবছরের মতো এ বছরও আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আয়োজন করে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের। বাংলাদেশিদের অনেকে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন লুঙ্গি, ফতুয়াসহ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে।
উৎসবে ছিল নারীদের পিঠা প্রতিযোগিতা, প্রবাসী শিল্পীদের নাচ-গান সঙ্গে ছিল অন্যান্য দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। সেনেগালের পারসিউশনিস্টলা রুয়েদা, কলম্বিয়া সংগীত ডেসি মেসিয়াস গার্সিয়া, কলম্বিয়ান নাচ এবং বিদেশিদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশিদের বালিশ খেলা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
জাদুঘরের প্রধান পরিচালক ম্যানুয়েল বোরজ-ভিল্লে প্রবাসীদের প্রশংসা করে জাদুঘরের কার্যক্রমের ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনার পাশাপাশি স্পেনের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করেন। স্থানীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে দেশের সম্মান বজায় রাখতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এতে যোগ দেন বাংলাদেশ, আফ্রিকা, আলজেরিয়া, মরক্কো ও কলম্বিয়াসহ ৩৫টি দেশের প্রবাসীরা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি মানবাধিকার সংগঠন ‘ভালিয়েন্তে বাংলা’সহ ৩৫টি মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নতুন এই স্বাস্থ্য আইনে বৈধ এবং অবৈধ অভিবাসীরা ভিবিন্নভাবে শোষিত হচ্ছে। তারা নতুন এই স্বাস্থ্য আইন বাতিল করে সবার উন্মুক্ত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা পূনরায় চালুর দাবি জানান।
রেইনা সুফিয়া মিউজিয়ামের প্রধান পরিচালক ম্যানুয়েল বোরজ-ভিল্লে, ব্যস্থাপনা পরিচালক মাবেল তাপিয়া, রাফায়েল পিমেন্টেল, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সভাপতি আল মামুন, ভালিয়েন্তে বাংলার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলে এলাহী, রেড ইন্টার লাভাপিসের পেঁপা তররেস, রেড সলিদাদের নিনেস, সেন্ট্রো দে ডোমেস্টিকর রাফায়েল, আনা লঙ্গোনি,আলিসিয়া, মাইতে, ট্রেরেতীরিয় ডমেস্টিক এর রাফা, ওলা ভেসিনোর লুসিয়া ও মারিয়া দে সোনিয়া ‘ভালিয়েন্তে বাংলার’ সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন, নারীনেত্রী আফরোজা রহমান,তানিয়া, সামাদ, গিয়াস, মনসুর, কামাল উপস্থিতি ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসী সংগীত শিল্পী লোকমান হেকিম, বিপ্লব খান, জহিরুল ইসলাম।
মাদ্রিদে বসবাসরত অভিবাসীদের নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে প্রতি বছর এ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে আসছে রেইনা সুফিয়া জাদুঘর পরিচলানা কমিটি। রেইনা সুফিয়া জাদুঘর কেন্দ্রিক ৩৫টি মানবাধিকার সংগঠন একত্রিত হয়ে অভিবাসীদের দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি