পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের ছোন্দহ বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য ক্যানেল খননের মাটি এলজিইডির পাকা সড়কের উপর রাখায় যানবাহন চলাচলসহ জনসাধারণের যাতায়াত চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সড়কের উপর থেকে মাটি অপসারণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
জানা গেছে, পাবনা নাটোর-সিরাজগঞ্জ জেলার ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের আওতায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে ছোন্দহ, দাড়ামুদা, রাঙ্গামাটিয়া, হাপানিয়াসহ বিভিন্ন বিলের পানির জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষে ক্যানেল পূনখনন কাজ শুরু করা হয়।
এলকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, সাঁথিয়ার বিএডিসির কর্তৃপক্ষ শুকনো মৌসুমে ক্যানেলটি খনন না করে বর্ষা মৌসুমে কোন কার্যাদেশ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে শুধুমাত্র (এনওএএইচ) ঘঙঅঐ নিয়ে যেনতেনভাবে কাজ শেষ করে বিল হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা করছে।
অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে রাতের আধারে এসকেভেটর (ভেকু) দিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে মাটি কেটে সড়কের এজিংসহ সড়কও ধ্বসে দিয়েছে। অনেক জায়গায় কাঁদামাটি খননের ফলে বৃষ্টিতে তা আবার ধ্বসে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানির মধ্যে কাদামাটি খনন করতে গিয়ে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র এজিইডির কার্পেটিং সড়কের উপর খননকৃত মাটি স্তুপ করে রেখে দেয়ায় সড়কে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, পুরো সড়কটি জুড়ে মাটির স্তুপ। সড়কের যে অংশটুকু ফাঁকা আছে তা দিয়ে একটা ভ্যান গাড়ীও যেতে পারে না। আবার বৃষ্টি হলে ওই সড়কে কাদায় একাকার হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে গিয়ে পা পিছলে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সড়কটিতে একটি ভ্যান গাড়ী ঢুকলে পাশ দিয়ে সাইকেলও নিয়ে যাওয়া যায় না।
সড়ক দিয়ে যানবাহন চলতে না পারায় কৃষি ফসল ঘরে তুলতে কৃষককে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সড়কের শেষ মাথায় রয়েছে বিশাল বিশাল মৎস্য খামার। এ মৌসুমে ওইসব মৎস্য খামার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ উৎপাদন করা হলেও সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় মাছের খাদ্য সরবরাহ করতে পারছেন না মৎস্য ব্যবসায়ীরা। ফলে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরাও।
সড়কের উপর থেকে দ্রুত মাটি অপসারণের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষে মোস্তফা কামাল বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সহকারী প্রকৌশলী এএনএম আহমেদ ইমতিয়াজ তন্ময় জানান, মাটির বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা হয়েছে। মাটি দ্রুত অপসারণ করা হবে।
তিনি বলেছেন, আতাইকুলা স্কুলমাঠে মাটি নিয়ে যাবেন কর্তৃপক্ষ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ বলেন, দ্রুত মাটি অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।