সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই স্বজন ও সহকর্মীরা নিখোঁজ ব্যক্তিদেরছবি নিয়ে তাদে খোঁজে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সে কোনো হতাহত ব্যক্তি এলেই তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। যদি স্বজনের দেখা মেলে।
ডিপোর আইসিটি দপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক আবদুস সোবাহান বিস্ফোরণের পর থেকেই নিখোঁজ। তার খোঁজে স্বজনেরা হাসপাতালে ছোটাছুটি করছেন।
আবদুস সোবাহানের চাচাতো ভাই রায়হান উদ্দিন বলেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, লাশঘর ও নগরের আরও কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরছেন।
বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগেও তার ভাই আবদুল সোবাহান ফোনে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি ডিপোতে কর্মরত আছেন। গতকাল অফিস শেষ করে ডিপোর কোয়ার্টারে চলে যান। কিন্তু আগুন লাগার কথা শুনে আবার ডিপোতে যান। সাড়ে ১১টার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সৈয়দ হোসাইন নামের এক ব্যক্তি তার এক স্বজন ও ৬ সাবেক সহকর্মীর খোঁজে গতকাল রাত ১২টা থেকে হাসপাতালে আছেন।
তিনি জানান, তার স্বজন নুরুল কাদের ও সাবেক সহকর্মী আবদুর রহমান, মো. রুবেল, মো. হাসিব, মো. রিদোয়ান, মো. শোয়াইব, মো. রবিউলকে বিস্ফোরণের পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের সবার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি বাঁশখালী।
শনিবার রাত ১০টার দিকে ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর দুপুর ১২ টা পরযন্ত দগ্ধ হয়ে কমপক্ষে ৩৭ জন নিহত ও ৪ শতাধিক আহত হয়েছেন।
আনন্দবাজার/শহক