ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কীটনাশক প্রয়োগ বন্ধে রক্ষা পাবে পাখি

কীটনাশক প্রয়োগ বন্ধে রক্ষা পাবে পাখি

ধানের দেশ, গানের দেশ, পাখির দেশ বাংলাদেশ।  এদেশের প্রকৃতি অনেক সুন্দর এবং মনমুগ্ধকর। পাখি আমাদের প্রকৃতির অংশ। ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসলকে রক্ষা করে। একসময় এদেশের গাছে গাছে দেখা যেত দোয়েল, ময়না, টিয়া, বাবুই, বুলবুলি, শালিক, টুনটুনি, কাঠ ঠোকরা, মাছরাঙ্গা, সাদা বক, বউ কথা কও, কুকিল সহ নানা রকমের পাখি। তবে, বর্তমানে এসব পাখি কম দেখা যায়।

বর্তমান প্রজন্মের অনেকে জাতীয় পাখি দোয়েল, ঘুঘু, বাওয়াই, কাঠঠোকরা, ক্যাসমেচি, বটর, টেইটেরা, গোমড়া ও প্যাচাসহ অনেক পাখির সঙ্গেই পরিচিত না। বাংলাদেশের প্রকৃতির সঙ্গে মিশে  থাকা এ সব পাখি হারিয়ে যাওয়ার মূলে রয়েছে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন এবং জমিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ। তবে এর সঙ্গে পাখি শিকারও যুক্ত করা যায়।

টাংগাইলের মধুপুর বনের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা জমিতে বেশি ফলনের আশায় পোকানিধনে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। এসব পোকা খেয়ে পাখি মারা যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো কৃষক গম, ধান, ভুট্টা ও সরিষা বপনের সময় কীটনাশক মিশিয়ে বীজ বপন করেন। কীটনাশক মিশ্রিত বীজ খেয়ে পাখি মারা যাচ্ছে। এছাড়া একদল অসাধুচক্র মাছে দানাদার বিষ প্রয়োগ করে খাল, বিল, নদীর ধারে রেখে দিচ্ছে। এসব মাছ খেয়ে সাদা বকসহ অতিথি পাখি শিকারে পরিণত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে। অনেক সময় এসব মাছ খেয়ে গৃহপালিত হাঁস মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাখি শিকারে সরকারি আইন, বিধি-নিষেধ থাকলেও একশ্রেণির মানুষ আইন অমান্য করে পাখি শিকার করছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেবলমাত্র সাধারণ জনগনকে সচেতন করা, প্রশাসনে সহযোগিতা, জীবের প্রতি দয়া, সহনশীলতা এবং সচেতনতাই রক্ষা করতে পারে পাখির স্বাভাবিক বেঁচে থাকা ও বংশ বিস্তাস্তারের পথ।

সংবাদটি শেয়ার করুন