- রোগীদের দুর্ভোগ চরমে
ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ফটোসেশনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা। ঘাটাইল উপজেলা সদর হাসপাতালে রোগীর চেয়ে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় বেশি দেখা যায়। কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভদের ভিড়ে বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলা রোগীরা সেবা নিতে এসে নাকাল হয়ে পড়ছেন এযেন চরম ভোগান্তিতেই পড়তে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের।
সরজমিনে দেখা যায়, রোগীর প্রেসক্রিপশন নিয়ে কৌশলে ফটোশেসনে মেতে উঠেছেন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা। ডাক্তারদের ভিজিট করার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। নিজেদের শক্ত অবস্থান কোম্পানির কাছে তুলে ধরতে তারা রোগীর ব্যবস্থাপত্র নিয়ে মোবাইলে ছবি তুলে নিচ্ছেন। বহির্বিভাগের সামনে এবং কোন রোগী ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রেসক্রিপশন নিয়ে ছবি তোলা শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে আসা এক সেবাপ্রার্থী বলেন, যখনই হাসপাতালে আসি তখনই দেখি কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড়। ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে রোগীরা বেরিয়ে এলেই প্রেসক্রিপশন দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তারা। এতে করে রোগী ও তার স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মচারী বলেন, নিয়মানুযায়ী সপ্তাহে মঙ্গলবার একদিন নির্দিষ্ট সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসকদের সাথে দেখা করতে পারবেন কোম্পানির প্রতিনিধিরা। কিন্তু তারা নিয়ম অমান্য করে প্রতিদিন হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে ও হাসপাতালের প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে শুরু করেন। এ ছাড়াও হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে তাদের কোম্পানির ওষুধ লেখা আছে কি না তা দেখতে রোগীদের ওপর প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়েন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রিপ্রেজেনটেটিভ জানান, আমরা এভাবে রোগী বা রোগীর আত্বীয়-স্বজনদের ভোগান্তিতে ফেলতে চাই না। তবে, চিকিৎসক আমাদের কোম্পানীর ঔষধ লিখল কিনা সেটা ছবি তুলে কোম্পানীতে না পাঠালে প্রতি মাসিক মিটিং এ বসরা গালিগালাজ করেন।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুর রহমান খান বলেন কেউ ছবি তুলতে পারবে না এবং রোগীদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে টানাটানি করা যাবেনা হাসপাতালে এসে রোগীদের বিরক্ত করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।