ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চালকের ঘুমে চিরঘুমে ১০ যাত্রী

চালকের ঘুমে চিরঘুমে ১০ যাত্রী
  • গাড়ির গতি ছিল বেপরোয়া, চালক ছিলেন ঘুমিয়ে

সড়ক দুর্ঘটনায় বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইলের শানুহার এলাকায় ১০ জন নিহতের ঘটনায় গাড়ির গতি বেপরোয়া ও চালকে চোখে ঘুম ছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক বেলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ সময় গাড়ির গতিও ছিল বেপরোয়া। আর বাসটি ঢাকা রুটের ছিল। এটি ঢাকা থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে পুরো বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। দীর্ঘ পথ গাড়ি চালানোর কারণে চালক হয়তো ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন।

তিনি বলেন, বাসে ৩৫ জন যাত্রী ছিলে। তবে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে চারজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পরে আরও আহতদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। একজন হাসপাতালে মারা গেছেন।
বরিশালের গৌরনদী হাইওয়ে থানার ওসি শেখ বেল্লাল হোসেন বলেন, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। তবে এখন সব স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনকে ঘটনাস্থল থেকে এবং একজনকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়ার পর মারা যান। আহত ১৫ জনের মধ্যে ১২ জন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং তিন জন উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এদিকে বামরাইলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১০ জনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ঝালকাঠি সদর উপজেলার নৈকাঠী গ্রামের আরাফাত হোসেন (৯), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার নুরুল ইসলাম আকন (৩৫), একই উপজেলার রাকিব আকনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৩২), বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাদিরাবাদ গ্রামের হালিম মিয়া (৩১), ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার আওলাদ মোল্লার ছেলে সান্টু মোল্লা (৫০) ও রমজান আলী (৪৫)।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন