ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও ৫৯ হাজার টাকা বেড়েছে হজের খরচ

বাংলাদেশের হজযাত্রীদের খরচ আরও ৫৯ হাজার টাকা বেড়েছে। সৌদি আরবে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বর্তমানে সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ ও প্যাকেজ-২ এ ৫ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। এর আগে খরচ নির্ধারিত ছিল প্যাকেজ-১ এ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ ও প্যাকেজ-২ এ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা।

বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর ‘সাধারণ প্যাকেজ’র মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হবে ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। এর আগে এ খরচ ছিল ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো চার্জ আরোপ করলে তা প্যাকেজ মূল্য হিসেবে গণ্য হবে, যা পরিশোধ করতে হবে হজযাত্রীকে।

তিনি আরও বলেন, মহামারির কারণে সৌদি সরকারের হজের ঘোষণার বিলম্বের জন্য এবং সৌদি আরব থেকে প্রকৃত খরচের বিবরণী না পাওয়ায় সম্ভাব্য ব্যয় বিবেচনা করে প্রভিশনাল হজ প্যাকেজ প্রস্তুত করা হয়েছিল। গত ২৫ মে সৌদি কর্তৃপক্ষ মিনায় অবস্থান স্থলের ভিত্তিতে ৪ ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করে ৪ ধাপের ব্যয়ের বিবরণ নির্ধারণ করেছে।

এর মধ্যে সর্বনিম্ন ব্যয়ের ধাপ ‘ডি’ এবং ‘সি’ প্রকাশ করেছে। ওই তথ্য অনুযায়ী মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে ৮ হাজার ৬৪০ সৌদি রিয়াল ও ‘ডি’ অনুসারে ৭ হাজার ৪৯০ সৌদি রিয়াল ধার্য করা হয়। ওই তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে মোয়াল্লেম ফি ‘সি’ অনুসারে এক লাখ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা ও মোয়াল্লেম ফি ‘ডি’ অনুসারে ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা বৃদ্ধি পায়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নতমানের বাস সার্ভিস, ট্রেন ভাড়া এবং বাড়ি ভাড়া থেকে উভয় প্যাকেজে কিছু অর্থ সাশ্রয় করা গেছে। এ সাশ্রয় এবং বাংলাদেশের হজযাত্রীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও তাদের প্রতি সরকারের সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে উভয় প্যাকেজে সৌদি আরবে আবশ্যকীয় ব্যয় ৫৯ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ লক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সর্বসম্মতিক্রমে এই ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদন করে সভা।

এদিকে বাড়তি টাকা গ্রহণের জন্য সরকার ২৮, ২৯ এবং ৩০ মে সময় নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, আগামী শনিবার (২৮ মে) দেশব্যাপী তফসিলি ব্যাংকগুলো খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন