পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীকে সঠিক বিনিয়োগে সহায়তা করতে রিসার্চভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করতে চায় ক্যাল সিকিউরিটিজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে শেয়ার কেনাবেচায় স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার লাইসেন্স পেয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে ব্যবসা পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়্যারম্যান অজিত ফার্নান্দো।
পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে অজিত ফার্নান্দো বলেন, ক্যাল বাংলাদেশ গতানুগতিক ব্যবসার বাইরে গিয়ে ব্রোকারেজে নতুন মাত্রা যুক্ত করতে চায়। ব্যবসা শুরুর আগেই বাংলাদেশের ম্যাক্রো অর্থনীতির ওপর একটি গবেষণা করেছে। যাতে দেখা গেছে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক বেশি। পুঁজিবাজারও অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় খাত। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।
ক্যালের পরিচালক আহমেদ রায়হান শামসি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন করে অবদান রাখতে চায়। বিশ্বব্যাপী ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে ক্যালের ২২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই ব্যবসা শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবে। যা বাংলাদেশের সুনাম বা ব্রান্ড ইমেজ বাড়বে। বৈশ্বিক বিনিয়োগও ত্বরান্বিত করবে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব রিসার্চ আহমেদ ওমর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে উন্নয়নশীল এবং উন্নত উভয় অর্থনীতিই ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে সৃষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এতদসত্ত্বেও দীর্ঘমেয়াদে ক্যাল বাংলাদেশের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী থাকবে বলে ধারণা করছে। ক্যালের বিবেচনায় স্বল্প-মেয়াদী চ্যালেঞ্জ থাকলেও, দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশ তার জনসংখ্যা এবং শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির কারণে সমকক্ষ দেশগুলিকে ছাড়িয়ে যেতে সমর্থ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির পরিচালক দিনেশ পুষ্পরাজা, প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা রাজেশ সাহা, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জুবায়ের মহসনি কবির, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব রিসার্চ আহমেদ ওমর সিদ্দিক প্রমুখ।