শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে

কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্যে নারীদের সংস্থাগুলোকে সক্রিয় হতে হবে। আর তা করতে হলে শ্রমবাজার নীতি ও প্রকল্পসমূহে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও সুরক্ষার ব্যাপারটি যুক্ত করা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে একটি কর্মশালায়।

বুধবার ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিআইজিডি)’র আয়োজনে ঢাকার মহাখালিতে অবস্থিত ব্র্যাক সেন্টার ইন মিলনায়তনে “ভয়েসিং অ্যান্ড চ্যালেঞ্জিং ওয়ার্কপ্লেস সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট” শিরোনামে জাতীয় কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়।

অনুষ্ঠানে “দ্য জেন্ডারড প্রাইস অফ প্রিক্যারিটিঃ সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ইন দ্য ওয়ার্কপ্লেস” নামক গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি গবেষণা প্রতিবেদন ও চারটি পলিসি ব্রিফ উন্মোচিত হয়। ব্রিটিশ একাডেমির সহায়তায় ইন্সটিটিউট অফ ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ (আইডিএস), সাসেক্স ও সবুজের অভিযান ফাউন্ডেশান গবেষণাটি করেছে।

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (বিআইজিডি)’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন। বলেন, “এই গবেষণাটির দৃষ্টি তরুণদের উপর ব্যাপকভাবে নিবদ্ধ। বাংলাদেশে একটা বড় অংশ এদেশের যুব শক্তি, যার অর্ধেকই নারী। আমাদের লক্ষ্য এই যুবশক্তিকে কর্মশক্তিতে রূপান্তরিত করে সেটাকে কাজে লাগানো। সুতরাং কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্যে নারীদের সংস্থাগুলোকে সক্রিয় হতে হবে। আর তা করতে হলে শ্রমবাজার নীতি ও প্রকল্পসমূহে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও সুরক্ষার ব্যাপারটি যুক্ত করা প্রয়োজন।

মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিআইজিডি’র রিসার্চ ফেলো লপিতা হক ও সিনিয়র ফেলো অফ প্র্যাকটিস মাহীন সুলতান। যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ভাষা এবং প্রচলিত সামাজিক ও লৈঙ্গিক নিয়ম কিভাবে নারীদের কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখে এবং অভিযোগ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্থ করে, তাঁদের বক্তব্যে এসব বিস্তারিত উঠে আসে। ভাষা, সামাজিক কিছু নিয়ম বা, রীতি যৌন হয়রানির মত বড় সমস্যাকে কিভাবে সাধারণ একটি ব্যাপারে পরিণত করছে, বক্তারা তা নিয়েও আলোচনা করেন। প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে এই কারণগুলোর প্রভাব নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ  গাইবান্ধায় নদী ভাঙনে বিলীনের পথে মাদরাসা

মীম মানজুর বলেন, অধিকাংশ গৃহকর্মীরাই অন্তত একবার শারীরিকভাবে হয়রানির মুখোমুখি হয়েছেন। বারবার শারীরিকভাবে হয়রানির মুখোমুখি হওয়া গৃহকর্মীদের সংখ্যাও কম নয়।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন