প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) কোটা সুবিধা নিতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ৩ কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮২৪তম নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বর্তমানে আইপিও কোটা সুবিধা নেওয়ার জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে আইপিও শুরুর আগে একটি নির্দিষ্ট সময় পযন্ত (কাট-অফ ডেট) তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকতে হয়। সেই অংকের পরিমান বাড়িয়ে এখন ৩ কোটি টাকা করা হয়। পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর মাধ্যমে তারল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি অনুমোদিত পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রোভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ডের ক্ষেত্রে আইপিও কোটার সুবিধা নেওয়ার জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
বিএসইসির নির্দেশনা মতে, ওইসব ফান্ডের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হয়।
অনুমোদিত পেনশন ফান্ড এবং স্বীকৃত প্রোভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটি ফান্ড ইলেকট্রনিক্স সাবসক্রিপশন সিস্টেমে (ইএসএস) নিবন্ধনের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের ইএসএস টিম নিম্নোক্ত দলিল দস্তাবেজ পরিক্ষান্তে নিবন্ধন নিশ্চিত করবেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদিত কপি; নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিবরণী (সংশ্লিষ্ট ফান্ড তার আর্থিক বিবরণীতে প্রদর্শিত অর্থের অতিরিক্ত অর্থ কোন আইপিওতে বিনিয়োগ করতে পারবে না।
আনন্দবাজার/টি এস পি