শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাছের ক্ষতরোগ প্রতিরোধের কৌশল ও প্রতিকার

শীতকালে মাছ চাষে কিছু রোগবালাই হয়ে থাকে যে সকল রোগ মাছের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এর মধ্যে অন্যতম হলো মাছের ক্ষতরোগ। মাছের ক্ষতরোগ প্রতিরোধের কৌশল ও প্রতিকার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিচে উল্লেখ করা হল:

বিশেষ যত্ন ও পরিচর্যা করলে মাছের ক্ষতরোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। দরকার বিশেষ যত্ন। কারণ এ সময়ে পুকুরের পানি কমে যায়, পানি দূষিত হয়, মাছের রোগবালাই হয়। ফলে মাছের বৃদ্ধি ও উৎপাদন ব্যাহত হয়।

মাছের ক্ষতরোগ: এফানোমাইসেস ছত্রাক পড়ে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে প্রায় ৩২ প্রজাতির স্বাদু পানির মাছে এ রোগ হয়।

যেমন: টাকি, শোল, পুঁটি, বাইন, কই, শিং, মৃগেল, কাতলসহ বিভিন্ন কার্পজাতীয় মাছে এ রোগ হয়।

লক্ষণ: মাছের ক্ষত রোগ হলে প্রথমে মাছের গায়ে ছোট ছোট লাল দাগ দেখা যায়। লাল দাগে ঘা ও ক্ষত হয়। ক্ষত স্থানে চাপ দিলে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হয়। লেজের অংশ খসে পড়ে।

মাছের চোখ নষ্ট হতে পারে। মাছ ভারসাম্যহীনভাবে পানির ওপরে ভেসে থাকে। মাছ খাদ্য খায় না। আক্রান্ত মাছ ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে মারা যায়।

এ রোগের আক্রমণ হলে করণীয়/প্রতিকারের কৌশল: শীতের শুরুতে ১৫ থেকে ২০ দিন পরপর পুকুরে প্রতি শতাংশে ০১ কেজি ডলোচুন ও ০১ কেজি লবণ মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

পুকুর আগাছামুক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জৈবসার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। জলাশয়ের পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে হবে। মাছের ঘনত্ব কম রাখতে হবে। ক্ষতরোগ হওয়ার আগে এসব ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  জামালগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় কমিটি গঠন

মাছ ক্ষতরোগে আক্রান্ত হলে প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ৬০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম টেরামাইসিন ওষুধ দিতে হবে। অথবা তুঁত দ্রবণে মাছ ডুবিয়ে রেখে পুকুরে ছাড়তে হবে। আক্রান্ত মাছপুকুর থেকে সরাতে হবে।

মাছের ক্ষতরোগ রোগ প্রতিরোধের কৌশল ও প্রতিকার সংবাদটির তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস হতে সংগ্রহ করা হয়েছে।

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন