শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমরুলের ব্যাটে জিতল চট্টগ্রাম

মিঠুনের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভর করে ১৬২ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট থান্ডার্স। বল করতে নেমে ৬৪ রানে আবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ৪ উইকেট তুলে নেয়। এরপর বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ালটন চট্টগ্রামের হাল ধরেন। তাদের ব্যাটে ভর করে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নেনে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

টসে জিতে চট্টগ্রাম প্রথমে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় । প্রথমেই রনি তালুকদারকে তুলে নিয়ে ব্রেক থ্রুও দেয় চট্টগ্রাম। কিন্তু সেই ধাক্কা সামলে নেন তিনে নামা মোহাম্মদ মিঠুন ও উইন্ডিজ ওপেনার জনসন চার্লস । চার্লস ৩৫ রান করে ফিরে যান। তারপরই ফিরে যান জীবন মেন্ডিস।

কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুন শেষ ওভার পর্যন্ত খেলে ৪৭ বলে ৮৪ রানের হার না মানা দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তার ১৭৮.৭২ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে ছক্কা ছিল পাঁচটি। এছাড়াও চারটি চার মারেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাকে সঙ্গ দিতে সিলেটের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন করেন ২৯ রান । কিন্তু তিনি খেলে ফেলেন ৩৫ বল। না হয় সিলেটের ইনিংস আরও বড় হতে পারতো।

জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রামের ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো ৩৩ রান করেন। তার আগে ব্যর্থ হন জুনায়েদ সিদ্দিক, নাসির হোসেন এবং রায়ান বার্ল। তবে চারে নেমে ইমরুল কায়েস খেলেন ৩৮ বলে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে ৬১ রানের ইনিংস। ওয়ালটস ৩০ বলে ৪৯ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে পরে দলকে জয় এনে দেন।

আরও পড়ুনঃ  আশরাফুলের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস

চট্টগ্রামের হয়ে রুবেল হোসেন ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। কোন উইকেট না পেলেও বেশ কিপটে বোলিং করেন নাসির হোসেন। তিনি ৪ ওভারে খরচা করেন মাত্র ২২ রান। নাশুম আহমেদ এবং রিয়াদ এমরিট একটি করে উইকেট নিলেও ৪ ওভারে খরচা করেন যথাক্রমে ৩৪ ও ৩৮ রান। সিলেটের স্পিনার নাজমুল ইসলাম ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন