ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে বাণিজ্য ঘাটতি

রফতানি আয়ে নিম্নগতির প্রভাবের কারনে বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৬২ কোটি ডলার, যা কিনা বাংলাদেশি টাকায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে। অন্যদিকে বহির্বিশ্বের সাথে চলতি হিসাবেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের। তথ্য জানা গেছে,কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) প্রকাশিত পরিসংখ্যানে ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা কম থাকায় সঠিক মূল্য পাচ্ছে না।আর তাই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রফতানি হচ্ছে না। অন্যদিকে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে। এসব বড় বড় প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি করতে হচ্ছে। এতে করে আমদানি ব্যয় যে হারে বেড়েছে সেই তুলনায় রফতানি হচ্ছেনা। যার কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে চলছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে এক হাজার ২৫১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে এক হাজার ৮১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে অক্টোবরের শেষের দিকে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৬২ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৭ হাজার ৭৭ কোটি টাকা।

ঘাটতির এ অঙ্ক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় ছিল ৫৩২ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের একই সময়ে তুলনায় এবার ঘাটতি বেড়েছে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) সব ধরনের পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয় এক হাজার ৮০৫ কোটি মার্কিন ডলার। তবে উল্লেখিত সময়ে এ খাতে আয় হয়েছে এক হাজার ৫৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। একই সাথে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানিতে এ বছর প্রবৃদ্ধি অর্জিত হার ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন