জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) হযরত শহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ ৭টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৯ হাজার ২৪১ কোটি ২৫ লাখ ২৫ হাজার টাকাখরচ ধরা হয়েছে।
এ প্রকল্পে সরকারি তহবিল থেকে ৪ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ২৪ হাজার টাকা খরচ করা হবে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, বিমানবন্দর প্রকল্পটি ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালে বাস্তবায়নের কথা ছিল। তবে সেটি না হওয়ায় এখন ২০২৫ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। এখন তা ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানোয় মূল ব্যয় দাড়াচ্ছে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় কারণে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে গেছে। অর্থ্যাৎ আগে ভিভিআইপি টার্মিনাল আলাদা করার কথা ছিল কিন্তু এখন সেটি এক সাথেই হবে। বিমান বন্দরের মূল ভবনের সাথেই এটি থাকবে। আগের ডিজাইনে আমদানি-রফতানি কার্গো হ্যান্ডেলিং এক সঙ্গে ছিল। নতুন ডিজাইনে এ দুটি আলাদা স্থানে নেওয়া হবে।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহের মধ্যে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ চ্যান্সারী কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ৭৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছে । কক্সবাজার জেলার রামু- ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ২৬৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ হাসাড়া পর্যন্ত জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ৪০৯ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
এছাড়া ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী- দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়ক এর কুষ্টিয়া শহরাংশ ৪লেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ৫৭৪ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। নাগেশরী-কাশিপুর-ফুলবাড়ী-কুলাঘাট-লালমনিরহাট জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ৯৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ঢাকা, মাদারিপুর ও রংপুর জেলার ৩টি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ৮৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।
আনন্দবাজার/এম.কে
