ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুজিববর্ষের ঘর ইটভাটায়!

মুজিববর্ষের ঘর ইটভাটায়!

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামের দক্ষিণে বিটিবি নামে একটি ইট ভাটার মাঝখানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঘরের ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইটভাটার চুলা ও চিমনি থেকে নির্মাণাধীন ঘরের দূরত্ব ৩০ থেকে ৩৫ ফুট।

জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বর্তমান সরকার সারাদেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ২৫০টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে কামারদহ ইউনিয়নে ৩৭টি, কাটাবাড়িতে ১৭৫টি, দরবস্তে ২৩টি, হরিরামপুর ও নাকাই ইউনিয়নে ১৫টি। চলতি বছর প্রতিটি ঘর নির্মাণে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কামারদহ ইউনিয়নে ৩৭টির মধ্যে ঘোড়ামারা গ্রামে ৩টি সারিতে ৩২টি ঘর নির্মিত হচ্ছে। ইটভাটার মধ্যে ১০৪ শতক খাস জমিতে গত দেড়মাস আগে ঘর নির্মাণ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন। কামারদহ ইউনিয়নে প্রায় ৯০ একর খাস জমি রয়েছে। এর মধ্যে বন্দোবস্ত যোগ্য জমি রয়েছে প্রায় ১৫ একর। ইউনিয়নের মাস্তা ও কামারদহ এলাকায় বন্দোবস্ত যোগ্য জমির পরিমান অনেকটা বেশি।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দুরে ঘোড়ামারা গ্রামে ৯ বছর আগে ১৫ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে বিটিবি নামের একটি ভাটা গড়ে তোলা হয়। তখন থেকে ভাটায় ইট পোড়াচ্ছিল বগুড়ার এক ব্যবসায়ী। গত বছর তাঁর কাছ থেকে ভাটার স্থাপনা কিনে নেয় গোবিন্দগঞ্জের আরেক ব্যবসায়ী আবু রায়হান। তিনি ওই খাস জায়গা ইট তৈরির কাজে ব্যবহার করতো। এব্যাপারে ভাটা মালিক আবু রায়হান বলেন, ভুমিহীনদের ঘরগুলো তৈরী করা হচ্ছে ভাটার মাঝখানে। প্রশাসনের নির্দেশে তিনি জায়গা ফাঁকা করে দিয়েছেন।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, ইটভাটাটি অবৈধ। তারা দীর্ঘদিন ধরে খাসজমি দখল করে খাচ্ছিলো। তিনি তাদের কাছ থেকে জায়গাটি উদ্ধার করে নিয়েছেন। ইটভাটার হিসেব করে তো আর ঘর নির্মাণ বন্ধ করা যাবে না। তবে জরুরি ভিত্তিতে ইটভাটাটি সরিয়ে দেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন