রমজান মাসে ইফতারে থালায় অন্তত একটি হলেও খেজুর থাকবেই। এটি কোনো কারণ ছাড়াই খাওয়া হয়, তেমন কিন্তু নয়। বরং রোজায় প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। রোজায় সাহরি থেকে ইফতার পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে দিনের শেষে শরীরে দেখা দেয় গ্লুকোজের ঘাটতি। সেই ঘাটতি পূরণে সবচেয়ে কার্যকরী হলো খেজুর। এছাড়া রোজায় খেজুর খাওয়ার রয়েছে আরও উপকারিতা। চলুন জেনে নিই কেন রোজায় প্রতিদিন খেজুর খাবেন-
আয়রনের ঘাটতি মেটায়
শরীরের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হলো আয়রন। আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে শরীরের নানা ধরনের অসুখের জন্ম হতে পারে। ফলে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। প্রতিদিন খেজুর খেলে তা শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ করে এবং রক্তস্বল্পতা থেকেও দূরে রাখে। যাদের রক্তস্বল্পতা রয়েছে তাদের প্রতিদিন খেজুর খাওয়া উচিত। সারা বছরই রোজায় শুরু করা এই অভ্যাস ধরে রাখুন।
রুচি বাড়াতে কাজ করে
অনেকেরই খাবারের প্রতি অরুচি থাকে। তারা যদি নিয়মিত খেজুর খান তাহলে উপকার পাবেন। খাবারে রুচি ফেরাতে কাজ করে খেজুর। নিয়মিত দুই,তিনটি খেজুর খেলে খাবারের প্রতি অনীহা থাকবে না।
পেটের গ্যাস দূর করে
অনেকেরই রোজায় পেটে গ্যাস জমে এবং সমস্যার সৃষ্টি করে। এই গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে খেজুর। পাশাপাশি এটি শ্লেষ্মা, কফ, শুষ্ক কাশি ও অ্যাজমার সমস্যায়ও উপকারী। সুস্থতার জন্য প্রতিদিন ইফতারে খেজুর রাখা জরুরি।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে পেট ঠিকমতো খালি হয় না। পেটের ভেতর আটকে থাকা মল অস্বস্তিসহ বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধার সৃষ্টি করে। প্রতিদিন খেজুর ভেজানো পানি খেলে এই সমস্যা দূর হবে। খেজুর নরম ও মাংসল, তাই এটি সহজে হজমযোগ্য।
হার্টের সমস্যা দূরে রাখে
যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য খেজুর খুব উপকারী ফল। রাতে খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভোর রাতে সেই খেজুর পিষে খেলে তা হার্টের রোগীদের সুস্থতায় সাহায্য করে। এছাড়া হার্টের অসুখ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন।
ক্যান্সার দূরে রাখে
মরণঘাতি ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে কাজ করে খেজুর। এটি লাংস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার আপনাকে দূরে রাখে। তাই মারাত্মক এই অসুখ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আনন্দবাজার/টি এস পি