নিজেদের কার্যক্রমের ২৫ বছর পূর্তি করেছে গ্রামীণফোন। এ যাত্রাপথে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এ বছর স্বাধীনতার ৫১ বছর উদযাপন করছে বাংলাদেশ, ঠিক একই সময়ে সমাজের ক্ষমতায়নে নিজেদের ২৫ বছর পূরণ করলো গ্রামীণফোন। ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দেশের সম্ভাবনা উন্মোচনের লক্ষ্য নিয়ে গ্রামীণফোনের স্বপ্নের শুরু। প্রতিষ্ঠার রজতরজন্তীতে দাঁড়িয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত। ডিজিটাল কানেক্টিভিটির মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময় এ বিশ্বাস নিয়ে এখন প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য সামনের দিনগুলোতেও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।
প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য নিজেদের ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান পরিণত করা এবং কানেক্টিভিটির বাইরে অন্যান্য ক্ষেত্রেও অবদান রাখা। সম্প্রতি রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের কার্যক্রম এবং এশিয়ায় টেলিনরের প্রথম কার্যক্রমের রজতজয়ন্তী উদযাপন করেছে গ্রামীণফোন।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, সিএমও সাজ্জাদ হাসিব, সিটিও রাদে কোভাসেচিভ, সিসিএও (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন সাদাত, হেড অব মার্কেটিং নাফিস আনোয়ার চৌধুরী, একেএম আল আমিন, হেড অব নেটওয়ার্ক সার্ভিস এবং স্বনামধন্য গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশার।
১৯৯৭ সাল থেকে দেশের মানুষের সবচেয়ে পছন্দের টেলিকম ব্র্যান্ড হবার ক্ষেত্রে গ্রামীণ জনপদকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাবার বিষয়ে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ইয়াসির আজমান।
ইয়াসির আজমান বলেন, বাংলাদেশ শূন্য থেকে আজ অসীম সম্ভাবনার দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। বিগত ২৫ বছর ধরে দেশের পরিবর্তনের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত। একটি স্ব-নির্ভর, ডিজিটাল অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য ৫১ বছর বছর বয়সী অদম্য বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনে আমাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। গুরুত্বপূর্ণ এ মুহূর্তে আমি, গ্রামীণফোনের আগের এবং বর্তমান সহকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টা ও অঙ্গীকারের জন্য ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি, সবসময়, সবক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের ওপর আস্থা রাখার জন্য আমি সরকার, আমাদের সকল পার্টনার, রিটেইলার, ডিস্ট্রিবিউটর, স্টেকহোল্ডার, শেয়ারহোল্ডার এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – আমাদের সকল গ্রাহক এবং সমগ্র দেশকে ধন্যবাদ জানাই। সময় এখন আমাদের যাত্রার পরবর্তী অধ্যায় শুরু করার – যে যাত্রায় অনিশ্চয়তা রয়েছে, যা আবার একই সাথে রোমাঞ্চপূর্ণ। এক্ষেত্রে, আমরা আমাদের লক্ষ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এবং আমরা সবাইকে একসাথে মিলে আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানাই।”
আনন্দবাজার/টি এস পি