পর্নোগ্রাফির মামলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. অর্নব পালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৫ মার্চ শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চমেক হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে রাজধানীর খিলক্ষেত থানা পুলিশ। এ সময় পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি দলও উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, ফেনী জেলার ফুলগাজী এলাকার ২৫ বছর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অর্নব পালের। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন অর্নব পাল।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া অর্নব পাল কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণের মনোহরপুর দুধবাজার এলাকার শ্রী রুপ পালের ছেলে।
পুলিশ ও চমেক সূত্রে জানা যায়, খিলক্ষেত থানার এসআই রিপনের নেতৃত্বে একটি টিম ও পাঁচলাইশ থানার সেকেন্ড অফিসার মো. আজাদের নেতৃত্বে একটি টিম হাসপাতালের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে গ্রেফতার করে অর্নবকে। কিন্তু তাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে প্রথমে বাধা দিলেও পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে বসে পুলিশের পক্ষ থেকে যাবতীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ওই সময়ে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাজিব পালিতসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার সেকেন্ড অফিসার মো. আজাদ বলেন, ‘খিলক্ষেত থানা থেকে একটি টিম এসেছিল তাদের এক আসামিকে গ্রেফতার করতে। নিয়ম অনুযায়ী আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
খিলক্ষেত থানার এসআই রিপনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘একটি মামলায় অর্নব পালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অর্নব পালের সঙ্গে ওই মেয়ের পরিচয় ছিল। এ সুবাদে ওই মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে অর্নব, যা দিয়ে পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে। কিন্তু এর মধ্যে ২০২১ সালের ১ অক্টোবর বিকেল ৪টায় খিলক্ষেত এলাকার একটি স্থানে ডেকে নিয়ে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন অর্নব। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই মেয়ে বাদী হয়ে রাজধানী খিলক্ষেত থানায় মামলা দায়ের করেন।