সাধারণত শীতের মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করে। কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র কারণ শীতের সবজির দাম কমছেই না। সব ধরনের সবজির দামই ঊর্ধ্বমুখী। তবে দুই একটির সবজির দাম সামান্য কমলেও তা স্বস্তিদায়ক নয়।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরানবাজার, শান্তিনগর ও তুরাগ এলাকার কয়েকটি বাজারে গিয়ে এইসব তথ্য পাওয়া যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সকল পণ্যের এই মূল্যবৃদ্ধিতে বিপদে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। অপরদিকে বাজারে এসেছে নতুন মৌসুমের দেশি পেঁয়াজ। তবুও এই পণ্যের দামের ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে পারেনি তা।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজির মধ্যে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টম্যাটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, ফুলকপি ও বাঁধাকপি আকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন মাছের আমদানি বেশ ভালো। বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে ইলিশ আকারভেদে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, রুই-কাতলা ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চাষের কই ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, চাষের শিং, মাগুর ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া সামুদ্রিক মাছের মধ্যে রূপচাঁদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকায়, পোয়া ২০০ থেকে ২৮০ টাকায়, টোনা ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় ও কোরাল ৪০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকায়।
অন্যদিকে মাংসের মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়, পাকিস্তানি কক জাতের মুরগি ২৫০ টাকায়, লেয়ার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়, গরুর মাংস ৫৭০ টাকায় ও খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকায়।
আনন্দবাজার/এম.কে
