‘শতবর্ষের এই আলোকতীর্থে স্বাধীনতার এই বীজভূমে আমাদের সৃষ্টির এই উৎসব সত্তা ও স্বপ্নের ভাষায় করি কলরব’-এই আহবান নিয়ে আগামীকাল ২১ মার্চ থেকে থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ১২ দিন ব্যাপী ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৫তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব ২০২১’ শুরু হচ্ছে। করোনার কারণে গত বছর থামিয়ে দিতে হয়েছিল এই বর্ণাঢ্য বাৎসরিক আয়োজন। এখন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বিভাগের নাটমণ্ডল মিলনায়তনে এই নাট্যোৎসবে আনন্দমুখর পরিবেশে মোট ৯টি নাটক মঞ্চস্থ হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করবেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি। এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া সভাপতিত্ব করবেন থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আশিকুর রহমান। এবারের নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রখ্যাত অভিনেতা, নির্দেশক এবং সাংস্কৃতিক উদ্যোক্তা রামেন্দু মজুমদারকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। ইতোপূর্বে ফেরদৌসী মজুমদার, আলী যাকের এবং আতাউর রহমান বিশেষ এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।
উদ্বোধনী দিন থেকে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্যামুয়েল বেকেটের ‘ওয়েটিং ফর গডো’ মঞ্চস্থ হবে, নিদের্শনা দিয়েছেন বিভাগীয় অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন। স্নাতক সমাপনী সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নিদের্শনায় ৭টি নাটক— ‘খারিজ’, ‘কোথায় পাব তারে’,‘রেপার্টরি থিয়েটার এ প্লে’, ‘দ্য শ্যাডো অব হামিংবার্ড’, ‘দ্য টু ক্যারেক্টার প্লে’, ‘শেষ গোধূলীর ঘুম’ এবং ‘নাথবতী অনাথবৎ’ মঞ্চস্থ হবে ২৭ থেকে ২৯ মার্চ। নির্দেশকবৃন্দ যথাক্রমে দেবাশীষ কুমার দে প্রশান্ত, মো. আশরাফুল ইসলাম, অপূর্ব চক্রবর্তী, ওয়াজেদ শাহরিয়ার হাশমী, নাদিরা আঞ্জুম মিমি, তাসলিমা হোসেন নদী ও ইন্দ্রাণী দাশ নিশি। আগামী ৩০ মার্চ হতে ১ এপ্রিল পর্যন্ত মঞ্চস্থ হবে ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা রীতির নিরীক্ষামূলক উপস্থাপনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বিসর্জন’, নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগীয় সহকারী অধ্যাপক তনভীর নাহিদ খান।
আনন্দবাজার/টি এস পি