জ্বালানি তেলের দাম কমে আসায় বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম কমেছে। আবার চীনে লকডাউনের খবরেও বাজারে প্রভাব পড়েছে। কারণ, চীনের মতো বড় জনসংখ্যার দেশে লকডাউন হলে চাহিদা কমে যেতে পারে, এমন আশঙ্কায়ও আন্তর্জাতিক বাজার সংশোধনে ভূমিকা রেখেছে।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে আকাশ ছুঁয়েছিল। তবে দুই সপ্তাহ পরই আকাশ থেকে নামতে শুরু করেছে দাম। এর মধ্যেই বাজার অনেকটা সংশোধিত হয়েছে। বিশ্ববাজার থেকে পড়তি দামে এখনই পণ্য না এলেও দেশের পাইকারি বাজারে দাম কমছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূলত জ্বালানি তেলের দাম কমায় বিশ্ববাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম কমেছে। তবে পড়তি দাম কত দিন স্থিতিশীল থাকে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যায় না। রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাত শেষ না হলে এবং জ্বালানির দাম না কমলে এই বাজার স্থিতিশীল হবে না।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শিকাগোতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১২৬ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছিল। এরপর লিটারে তা ১৬ টাকা বেড়ে ১৪২ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠে। এরপর গত সোম থেকে বুধবার তিন দিনে লিটারে ১৫ টাকা কমে ১২৭ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে আসে।
বিশ্বাজারে গমের বড় উৎস হলো রাশিয়া ও ইউক্রেন। দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্বে গমের সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। কারণ, এই দুটি দেশ গত মৌসুমে বৈশ্বিক গম রপ্তানির ২৮ শতাংশ করেছে। ফলে সংঘাতের পর দেশ দুটি থেকে সরবরাহ অনিশ্চয়তায় প্রভাব পড়ে। এতে গমের দাম বাড়ে। যেমন, শিকাগোতে ‘সফট রেড উইন্টার’ জাতের গমের দাম ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতি কেজি ছিল ২৯ টাকা ৩২ পয়সা, যা গত ৭ মার্চ ৪৫ টাকায় ওঠে। গত বুধবার দাম কমে ৩৩ টাকা ৭৮ পয়সা হয়।
বিশ্ববাজারে চিনির দামও কমেছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শিকাগো বোর্ডে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৩৪ টাকা। গত ১৪ মার্চ এই দর ওঠে প্রতি কেজি ৩৭ টাকা ৯১ পয়সায়। গত বুধবার আবার কমে আসে প্রায় ৩৫ টাকায়। একইভাবে বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেল উৎপাদনের কাঁচামাল সয়াবিনবীজ এবং পাম তেল ও পাম অলিনের মতো পণ্যের দামও কমেছে।
আনন্দবাজার/শহক