ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কীটনাশকমুক্ত শাকসবজি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ‘কৃষকের বাজার’

বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সার ও কীটনাশকমুক্ত শাকসবজি ও দানাদার শস্যের যোগান দিতে রাজধানীতে যাত্রা শুরু করেছে ‘কৃষকের বাজার’। ঢাকার আশপাশের মোট আটটি উপজেলা থেকে অর্গানিক বিভিন্ন সবজি নিয়ে এ বাজারে অংশগ্রহণ করেছেন কৃষকরা।

আজ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) মানিক মিয়া এভিনিউ’র সেচ ভবন প্রাঙ্গণে এ বাজারের উদ্বোধন হয়। প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনি দুদিন সকাল ৭টা থেকে বসবে এ বাজার। আজ বাজারের  উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী জানান, এখানকার এই কৃষকের বাজারে যে কৃষকরা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের আমরা গত এক বছর ধরে প্রস্তুত করেছি। সম্পূর্ণরূপে কীটনাশকমুক্ত সবজি এখানে নিয়ে আসছেন তারা। স্বল্প পরিসরে হলেও এটি অব্যাহত থাকবে, এবং ভবিষ্যতে এটি বৃহৎ পরিসরে করার উদ্যোগ আমরা নেবো।

বাংলাদেশের কৃষিখাতে সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, দানা জাতীয় খাদ্যের ক্ষেত্রে আমরা এখন উদ্বৃত্ত অবস্থায় আছি। এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের শাকসবজি, খাদ্য ও কৃষি পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এটি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত অর্থবছরে কৃষিক্ষেত্রে রপ্তানির অগ্রগতি হয়েছে ৩৪ ভাগ। অন্যান্য সব সেক্টরের চেয়ে কৃষি সেক্টরে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।

প্রথমবার তাদের পরিবহন খরচ বহন করবে সরকার। পরবর্তীতে কৃষকরা নিজে উদ্যোগেই এখানে সবজি নিয়ে আসবেন।

ক্রেতা ফকরুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, প্রথমত ভালো লাগছে যে, এখানে সরাসরি কৃষকরা দাম পাচ্ছে। দ্বিতীয়ত শাকসবজিগুলো সম্পূর্ণ কীটনাশকমুক্ত। তাই একসঙ্গে অনেক কিনে নিচ্ছি।

তবে এ বাজারে বিভিন্ন পণ্যে দামের আধিক্য রয়েছে বলেও অভিযোগ কোনো কোনো ক্রেতার।

ক্রেতা নজরুল ইসলাম জানান, বাইরের বাজার থেকে এখানে প্রতিটি পণ্যে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেশি। যেহেতু পরিবহন খরচ নেই, সেহেতু কৃষকরা আরও কম দামে এগুলো বিক্রি করতে পারেন। এ বিষয়টি আয়োজকদের লক্ষ্য রাখা উচিত ছিল।

কৃষক মকবুল মিয়া জানান, বাজারে ফুলকপি পাওয়া যায়, আমাদের এখানেও ফুলকপি আছে। কিন্তু এই দুই ফুলকপির মধ্যে অনেক পার্থক্য। আমরা সম্পূর্ণ অর্গানিক উপায়ে চাষ করি। এ ধরনের ফসলের বীজ সব জায়গায় পাওয়া যায় না। নির্ধারিত কিছু কিছু জায়গায় পাওয়া যায়, যার দাম সাধারণত বেশি। তাছাড়া আমরা কোনোরূপ কীটনাশক ব্যবহার করি না। দৈনন্দিন আবর্জনা থেকে তৈরি কম্পোস্ট সার ব্যবহার করি। এক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণসহ ফসলকে পোকামাকড়মুক্ত রাখতে অনেক শ্রম ও খরচ হয়। তাই আমাদের দামটা একটু বেশি। যেমন, একটি ফুলকপির পেছনে খরচ হয় ২০ থেকে ৩০ টাকা। আমরা সেটা বিক্রি করছি ৪০ টাকায়।

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন