ঢাকা | সোমবার
৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেটে চৌচির ফসলের মাঠ

ফেটে চৌচির ফসলের মাঠ
  • অনাবৃষ্টিতে সেচ সংকটে বোরো চাষি
  • গভীর নলকূপ স্থাপনে সমস্যার সমাধান

অনাবৃষ্টিতে সেচ সংকটে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের শতাধিক কৃষকের প্রায় ৩শ’ একর বোরো ধানের জমি ফেঁটে চৌচির হয়েছে। অনাবৃষ্টি আর পানির সমস্যায় রোপণকৃত চারা নষ্ট হয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। এসব কৃষকরা নির্দিষ্ট চুক্তিতে জমিতে বোরোধান চাষ করেছিলেন। পানি সংকটের কারণে আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের একাংশের জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হওয়ায় দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকেরা।

কৃষকরা জানান,  একর প্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভের  আশায় নির্দিষ্ট চুক্তিতে জমি নিয়ে চাষাবাদ করছেন তারা। জমি ও বীজতলা তৈরি, বীজ কেনা, চারা রোপণ, সার কীটনাশক  ইত্যাদি বাবদ এ পর্যন্ত  হাজার হাজার টাকা খরচ করে এখন পানির  অভাবে চারা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেকে জমি ফেঁটে চৌচির। কৃষক ওয়াসিম মিয়া, আবিদ বক্ত, গিয়াস মিয়া বলেন, অনেক আশা করে জমি চাষ করেছিলাম, এখন পানির অভাবে সব নষ্ট। ধার-কর্জ করে অনেক টাকা খরচ করছি। ২টা ডিপ টিউবওয়েল হলে এ সমস্যা আর থাকতো না। পানির  পর্যাপ্ততা থাকলে সারা বছরজুড়ে উত্তরভাগ, নোয়াগাঁও গ্রামের  কয়েকশো একর জমিতে আউশ, আমন ও বোরো চাষ করা যায়। সেচ সংকটে ভরা মৌসুমেও চাষাবাদ করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন এসব এলাকার কৃষকেরা। দ্রুতসংকট সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।

এদিকে আদমপুরে বোরো চাষে পানি ও সেচ সংকটের সরেজমিন পরিদর্শন করেন কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান। তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পানির সংকট সমাধান করেছি আমরা। সেচ ও পানির সমস্যাটা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তদারকি করেন। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা সহযোগিতা করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন