নোয়াখালীর বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনীতে অভিযান চালিয়ে ১৮ হাজার লিটার সয়াবিন ও পামওয়েল মজুদ রাখার অপরাধে মেসার্স বিজয়া ভাণ্ডারকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর নোয়াখালী। একইসাথে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভবিষ্যতের জন্য সর্তক করে দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কবির হোসেন এর সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভোজ্যতেল কালোবাজারি, মজুদ ও ক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ মনিটরিং এর অংশ হিসেবে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা শাখা। অভিযানকালে চৌমুহনী দক্ষিণ বাজারের ব্যাংক রোডের তোতা মিয়ার গলিতে অবস্থিত মেসার্স বিজয়া ভান্ডারের একটি গোডাউনে থাকা ৮৮টি ড্রামে প্রায় ১৮হাজার লিটার সয়াবিন ও পামওয়েল মজুদ অবস্থায় পাওয়া যায়।
ভোক্তা অধিকার জেলা সহকারি পরিচালক কাউছার মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমান তেল বিক্রি না করে বাজার সংকট রেখে বেশি লাভের আশায় অবৈধভাবে নিজের একটি গোডাউনে তেলগুলো মজুদ করে রাখে বিজয়া ভাণ্ডারের মালিক রাজেশ বনিক। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে ওই গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে ৫০হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। পরে বাজারের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অপরাধে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।