গত কয়েকদিন আগেও পাইকারি এবং খুচরা বাজারে দেশি ও বিদেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে ছিল অস্থিরতা। গতকাল রবিবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় সেই অস্থিরতা কাটতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ভোক্তা পর্যায়ে। বর্তমানে খুচরা দরে কেজিতে ১৩-১৫ টাকা কমে মানভেদে ১৮-২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়।
বাংলাহিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শেখ মঈনুল হোসেন বলেন, গতকাল রবিবার দুপুরে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩২-৩৬ টাকায়। এর কয়েকঘণ্টা পর বিকেলে সেই পেঁয়াজের দাম এক লাফে কমে বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে ২২ টাকার মধ্যে। আজ সোমবারও একই দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের ভারতীয় পেঁয়াজ।
এদিকে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১২-১৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়। এর আগে এই পেঁয়াজ ৫০ টাকার উপরে বেচা-কেনা হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান জানান, কয়েকদিন ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। এ কারণে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আমরা আমদানিকারকদের কাছে পাইকারি ১৭ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ৫০ পয়সা বা এক টাকা লাভে বিক্রি করছি।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোর্শেদ হোসেন জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে বাধা কেটে যাওয়ায় আগামী রমজান মাসকে সামনে রেখে আমদানিকারকেরা এখন থেকে বেশি করে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন। আবার আরও অনেক আমদানিকারক আমদানির জন্য এলসির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আশা করা যায় রমজানে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকবে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার মো. কামরুল ইসলাম জানান, গতকাল রবিবার পর্যন্ত এই বন্দরের মাধ্যমে ভারতীয় ৩৮ ট্রাকে এক হাজার ১০৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজ সোমবারও পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় পেঁয়াজের খালাস কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য আমার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া আছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি