অফিসে কাজে বসতেই একরাশ ক্লান্তি ঘিরে ধরে। একটু কাজ করতেই বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে। সারাক্ষণই ঘুম ঘুম ভাব। দুপুরের খাবারের পর ঘুমে চোখ বুজে আসে। কোনভাবেই চেয়ারে বসে কাজ করা সম্ভব হয় না। এসব সমস্যার কারণে কাজেও ঠিক মতো উৎসাহ থাকে না। এসব সমস্যা আমাদের অনেকেরই।
বিশ্রামহীন জীবনযাপন, কাজের অত্যধিক চাপ এবং অনিয়িমিত খাওয়াদাওয়া এই সমস্যার মূলে আছে। অনেকেরই কর্মব্যস্ততার কারণে নিজের দিকে আলাদা করে খেয়াল রাখা হয় না। কিন্তু সুস্থ থাকতে জীবনে যাপনে কিছু বদল আনা প্রয়োজন। চলুন জেনে নিই কোন বদলগুলো আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে-
পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর। সারাক্ষণই ঘুম ঘুম ভাব ঘিরে থাকে। এতে কাজেও ঠিক মতো গতি আসে না। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
মানসিক অবসাদ এড়িয়ে যাবেন না
কর্মক্ষেত্র অথবা ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে অনেকেই মানসিক অবসাদে থাকে। অনেকে আবার সেগুলো এড়িয়েও যান। তবে শরীরের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি সুস্থ থাকতে যত্ন নিন মনেরও।
মন খুলে কথা বলুন
অনেক মানুষ বরাবরই অন্তর্মুখী। সব কথা নিজের মনের মধ্যে রেখে দেন। এতে এই অন্তর্মুখী চাপ শরীরেএবং মন উভয়কেই দুর্বল করে তোলে। এতে ক্লান্ত লাগে।
বেরিয়ে পড়ুন ঘুরতে
অফিসের ব্যস্ততায় ঘুরতে যাওয়ার সময় পান না অনেকেই। জীবনে কাজ যতটা গুরুত্বপূর্ণ তেমনি নিজেকে সুস্থ রাখা ততটাই গুরুত্ব বহন করে। ব্যস্ততা থাকবেই। এর মধ্যেই নিজের জন্য সময় আপনাকেই বার করে নিতে হবে। একঘেয়েমি কাটাতে কোথাও ঘুরতে যান। এতে শরীর এবং মন ভালো থাকবে। গতি ফিরবে কাজেও।
আনন্দবাজার/টি এস পি