ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে’

আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি হতে পারে। সেজন্য সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।

আজ রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। এদিন সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের বিষয়ে আদেশ দিতে আগামীকাল সোমবার দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।

আদালতে আজ রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবির শুনানিতে ছিলেন। তার সাথে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন। অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন।

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে আদালত রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ করে বলেন, সামনে রমজান মাস। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি হতে পারে। শুধু সয়াবিন তেল নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের কথা রিটে অন্তর্ভুক্ত করুন। এমন আদেশ দিতে হবে যেন দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের উপকার হয়। টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণে নীতিমালা করা প্রয়োজন। নিত্যপণ্যের মূল সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।

আদালত রিটকারী আইনজীবীকে বলেছেন, আপনি ভ্রাম্যমাণ (মোবাইল কোর্ট) আদালতের আইনটি ভালো করে দেখে আসুন। আমরা এমন রুল ও আদেশ দিতে চাই যেটি দেশের মানুষের কাজে আসে।

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্দেশনা চেয়ে গত ৬ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবির ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ হাইকোর্টে রিট করেন। রিটটি করা হয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে। রিটের বিষয়ে আজ আদালতে শুনানি হয়। প্রথমে শুধু সয়াবিন তেলের বিষয় নিয়ে রিটটি করা হলেও পরে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ও রিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট আটজনকে বিবাদী করা হয়।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন