- সয়াবিনের সুসংবাদে সবজির দুঃসংবাদ চাপা
আগের দিনেই ভোজ্যতেল, চিনি আর ছোলার দামের লাগাম টানার ঘোষণা দেয়া হয়। আমদানি আর ভোক্তা পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় সরকার। আর এমন ইতিবাচক সিদ্ধান্তের পরই বদলে যায় চিত্রপট। সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে ফিরে আসে স্বস্তি। তারা ভাবতে শুরু করেন, এবার আর নাগালের বাইরে যেতে পারবে না সয়াবিন, চিনি অথবা ছোলার দাম।
তবে এমন স্বস্তির উচ্ছ্বাসকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সহসাই সরকারের এমন সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে না সয়াবিনের দামে। কেননা, বাজারে থাকা তেলের সম্পূর্ণ ভ্যাট ইতোমধ্যে এনবিআর সংগ্রহ করেছে। বন্দরে নতুন করে তেল না আসা অবধি সুফল পাবে না ক্রেতারা।
রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দামের লাগাম টানার এমন টকঝালমিষ্টির সংবাদের মধ্যে হাবুডুবু খেতে খেতেই গতকাল শুক্রবারের সবজি বাজার নতুন বার্তা দিয়েছে। গ্রীষ্মের সবজি ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে। তবে দামে নাগালের বাইরে। বিশেষ করে পটলের কেজি ১২০ টাকা দেখা গেছে রাজধানীর বাজারে। অবশ্য গেল সপ্তায় যে বরবটি, ঢেঁড়শ বা করলা যে সেঞ্চুরি পার করেছে, সেখান থেকে আর নামেনি। অন্য সবজিগুলোর একই পরিস্থিতি।
তাই সাধারণ মানুষ সয়াবিন, চিনি আর ছোলার দাম কমার যে তাৎক্ষণিক স্বপ্ন দেখেছিলেন তা দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে গিয়ে। তবে কাঁচাবাজারের খবর তেমন প্রচার পায়নি গণমাধ্যমে। কারণ আগের দিনের সুসংবাদ হজম করার আগেই দুঃসংবাদ প্রচার করা সমীচিন মনে করেনি প্রচার মাধ্যমগুলো। সে কারণে কাঁচাবাজারে গিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের যে ধাক্কা খেতে হয়েছে তা সংবাদ আকারে প্রকাশ করেনি বেশিরভাগ প্রচারমাধ্যমে।
অবশ্য তার ছোট্ট একটা কারণও আছে। সেটা হলো পেঁয়াজ। এত সব দুঃসংবাদের মধ্যে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে যে ১৫ টাকা কমেছে তা নিয়েই বেশ আত্মতৃপ্তিতে ভুগেছেন অনেকেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি যে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, তা মুড়িকাটা। কয়েকদিনের মধ্যেই হালি পেঁয়াজ চলে এলে দাম আরো কমবে। অন্যদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো সুসংবাদ বা দুঃসংবাদ না দিয়েই স্থির থেকেছে ডিম, মাছ ও মুরগির দাম। বাজার নিয়ে প্রচার মাধ্যমের উত্তেজিত না হওয়ার এটাই হতে পারে অন্যতম কারণ। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে নতুন আসার কারণে পটল, ঢেঁড়শ, বরবটির দাম এখন একটু বেশি। তবে কয়েকদিন পর এসব সবজির দাম কমে যাবে।