বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উদ্যোগ

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উদ্যোগ

দেশে প্রথম এফএও সম্মেলন-

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন বা এপিআরসি-৩৬ শুরু হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও তা উত্তরণের নানা দিক নিয়ে অলোচনা করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ সম্মেলনের সিনিয়র অফিসিয়াল/কৃষি সচিব ও উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের প্রথম দুই দিনের সেশন উদ্বোধন করেন কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। এ সেশনের  জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন কৃষিসচিব।

এসময় খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম, কনফারেন্স সেক্রেটারি শ্রীধর ধর্মপুরীসহ অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে কৃষিসচিব বলেন, মুজিববর্ষে বাংলাদেশে এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন আয়োজন দেশের কৃষি উন্নয়নের সাফল্যে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের কৃষিতেও এর বিরাট প্রভাব পড়বে। এ অবস্থায়, এ সম্মেলন সদস্য দেশসমূহের মধ্যে জ্ঞান, প্রযুক্তি, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ক্ষেত্র প্রসারিত করবে ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।

এফএও’র সহকারী মহাপরিচালক জং-জিন কিম তার বক্তব্যে সম্মেলনে আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য চারটি বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানান। তিনি বলেন, উন্নত উৎপাদন, উন্নত পুষ্টি, উন্নত পরিবেশ ও উন্নত জীবনের জন্য কৃষিখাদ্য ব্যবস্থাকে টেকসই করা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহার ও জলবায়ুসহনশীল কৃষিখাদ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।  

উল্লেখ্য, চার দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে ১১ মার্চ। এ সম্মেলনে ৪৩টি দেশ (৮টি সরাসরি ও ৩৫টি ভার্চুয়ালি) ও এসব দেশের প্রধানমন্ত্রী/মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া, সদস্য রাষ্ট্র, এফএও’র মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির প্রায় ৯০০ জন অংশগ্রহণ  করছেন, যা এপিআরসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

সম্মেলনের মূল অধিবেশন/প্লেনারি সেশন হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কান্ট্রি শোকেসিং বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) হচ্ছে। ৪ দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দুই দিন (৮-৯ মার্চ) সিনিয়র অফিসিয়াল/কৃষি সচিব ও উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের মিটিং এবং শেষ দুই দিন (১০-১১ মার্চ) মন্ত্রিপর্যায়ের/কৃষিমন্ত্রীদের মিটিং হবে।

আরও পড়ুনঃ  খেলাপির বড় ঝুঁকিতে পাকিস্তান

মন্ত্রিপর্যায়ের মিটিং বা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১০ মার্চ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কান্ট্রি শোকেসিং চলছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয়ের অংশগ্রহণে ১৭টি প্রদর্শনী স্টল রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন