এস্টোরিকস আলু
আলু বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফসল। উৎপাদনের দিক থেকে ধান, গম ও ভুট্টার পরেই চতুর্থ স্থানে আছে আলু। বাংলাদেশে আলু একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। বাংলাদেশের সর্বত্রই এর চাষ হয়ে থাকে। অনুকূল আবহাওয়া ও বাজারজাতকরণের জন্য কিছু জেলায় এর চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে আলু সাধারণত সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে খেতে খুবই মুখরোচক। প্রক্রিয়াজাত আলু বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। আলু একটি স্টার্চ প্রধান খাদ্য এবং ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। পৃথিবীর অন্তত ৪০টি দেশে আলু মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য। আলু একটি স্বল্পমেয়াদি উচ্চফলনশীল ফসল। যা জমির স্বল্পতাহেতু বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।
দেশে আরো নতুন জাতের গোল আলুর মধ্যে এস্টোরিকস জাতের আলু চাষে কৃষক সফলতা পাবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নেত্রকোণা বীজ উৎপাদন খামার বিএডিসি জেলায় কর্মরত সিনিয়র পরিচালক (খামার) কৃষিবিদ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। নতুন জাতের এ আলু চাষ করে কম সময়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে বলে আাশা করছেন তিনি।
তিনি আরও জনান, চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি’র ৭ একর জমিতে এস্টোরিকস ভিত্তি বীজ রোপণে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আমাকে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৪৯ মেট্রিকটন। সেখানে লক্ষ্যমাত্রা অতিরিক্ত করে ফলন হয়েছে প্রায় ৬০ মেট্রিকটন এবং আলুর গুণগত মানও অনেক ভালো। তাই আমি আশাবাদী এ বীজ রোপণে আলুর ফলন ভালো দেখে কৃষকের মুখে ফুটে উঠবে হাসি।
বিএডিসি’র কৃষকের উৎপাদিত এই আলু গ্রেডিং করার পর কিশোরগঞ্জ পাকুনদিয়া হিমাগারে সংরক্ষণ করা হবে। পরে হিমাগারে সংরক্ষিত ওই আলুবীজ সরকারের নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হবে।
এ এস্টোরিকস ভালোমানের আলুবীজ কিনে রোপণে কৃষক তাদের উৎপাদিত আলু সরকারের কাছে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করলে সরকার ও আলু চাষিরা উভয়েই লাভবান হবেন আমি আশাবাদী।
আর দ্বিতীয়ত এখানে আমাকে বোর’র লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১ একর, আমি ৮১ একর জমিতে জানুয়ারি’র ৩০ তারিখে মধ্যে বোর লাগানো শেষ করেছি। বোর’র বর্তমানের ইলারিং খুব ভালো। আশা করি বোর ফলনে আমার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ আছে ৮১ একরের মধ্যে ১শত সাড়ে ৫২ টন আমার লক্ষ্যমাত্রা তা আমি অতিরিক্ত করতে সক্ষম হবো।