প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে যুগে যুগে প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীনতার জন্য দেওয়া কোনো ভাষণই পুনরাবৃত্তি হয়নি। কিন্তু ৭ মার্চের ভাষণ চিরন্তন হিসাবে বিশ্বের বুকে উদ্ভাসিত থাকবে।
আজ সোমবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ২০২২’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীনতার জন্য যত ভাষণ দেওয়া হয়েছে। কোনোটাই কিন্তু পুনরাবৃত্তি হয়নি কখনো। যেদিনের ভাষণ, সেদিনই ওইটা শেষ হয়ে গেছে। এই ভাষণটা আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর পর্যন্ত আমাদের বারবার প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একটি মাত্র ভাষণ, এটা কত ঘণ্টা, কত দিন বাজানো হয়েছে। এটা মনে হয় হিসেব করাটা একটা কঠিন ব্যাপার। এটাকে যুগ যুগ ধরে আমরা শুনছি। কত কোটি কোটি মানুষ এই ভাষণটা শুনেছে। যতই বাধা দেওয়া হয়েছে, ততই মনে হয় এই ভাষণটা উদ্ভাসিত হয়েছে। এখনো আমাদের এই ভাষণ অনুপ্রেরণা দেয়।
প্রধানমন্ত্রী সাত মার্চের ভাষণের প্রতিটি লাইনকে কবিতার অংশ মনে করেন। তিনি বলেন, এ ভাষণ মানুষের ভেতরে, অন্তরে অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়, প্রেরণা দেয়। এই ভাষণের যে ঐতিহাসিক কথা, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ একাত্তর সালে যখন মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলো তখন এই ভাষণটাই ছিলো তাঁদের প্রেরণা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত তা বাজানো হতো।
‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে বিশ্বের অনেকই গবেষণা করেছিলো। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে স্বাধীনভাবে বাজানোর সুযোগ পায়। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা থেমে থাকেনি। পঁচাত্তরের পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভাষণটা বারবার বাজিয়েছে।’- যোগ করেন তিনি।
আনন্দবাজার/টি এস পি