গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছে শাহ্ সিমেন্ট। শাহ্ সিমেন্ট এর স্থাপন করা ভার্টিক্যাল রোলার মিল (ভিআরএম) বিশ্বের সবচেয়ে বড় হওয়ায় নতুন এই রেকর্ডটি দখল করে নিয়েছে সিমেন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ এই প্রতিষ্ঠানটি।
তাদের স্থাপন করা ভার্টিক্যাল রোলার মিলের গ্রাইন্ডিং টেবিল ডায়ামিটার ৮.০৮ মিটার এবং রোলার টেবিল ডায়ামিটার ২.৬৪ মিটার। সর্বমোট ছয়টি রোলার সমন্বিত এই ভিআরএম প্রতিদিন ১৫ হাজার টন এবং বছরে ৬০ লাখ টন সিমেন্ট উৎপাদন করতে পারবে।
আকার এবং প্রযুক্তির দিক দিয়ে পৃথিবীর সেরা সিমেন্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এখন শাহ্ সিমেন্ট। আর তাই তো শাহ্ সিমেন্টের এই ভিআরএমকে ‘পৃথিবীর একক বৃহত্তম’ হিসেবে সত্যায়িত এবং নথিভুক্ত করেছে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে ভিআরএম প্রযুক্তি সারা বিশ্বে সমাদৃত এবং সিমেন্টের উন্নত মান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি অদ্বিতীয়। শাহ্ সিমেন্টের নতুন এই ভিআরএম স্থাপনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দিয়েছে ডেনমার্কের বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান এফএলস্মিথ।
এছাড়া এই ভার্টিক্যাল রোলার মিলে সর্বাধুনিক ডিজিটাল এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি সংযুক্ত করেছে শাহ্ সিমেন্ট। নিজেদের আরেক ধাপ এগিয়ে নিতেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিআরএম প্রযুক্তি সংযুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ডেনমার্কের এফএলস্মিথ এর সাথে পারস্পরিক সহযোগিতায় সফলতা পেয়েছে শাহ্ সিমেন্ট।
আবুল খায়ের গ্রুপের পরিচালক নওশাদ চৌধুরী বলেন, ক্রেতাদের আস্থাই শাহ্ সিমেন্টের মূল ভিত্তি। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ক্রেতা বাড়ি নির্মাণে শাহ্ সিমেন্টের ওপর আস্থা রেখেছেন। ক্রেতাদের এই অবিচল আস্থা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে শাহ্ সিমেন্ট ও বাংলাদেশকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখার। আমরা যখন উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর কথা ভাবছিলাম, তখন এমন উৎপাদন প্রক্রিয়ার কথা ভেবেছি, যা দেশজুড়ে শাহ্ সিমেন্টের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহই শুধু নিশ্চিত করবে না, প্রতিটি ব্যাগে সেরা মানের সিমেন্টের নিশ্চয়তাও দেবে।
শাহ্ সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক হাফিজ সিকান্দার বলেন, ক্রেতাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে উন্নতমানের সিমেন্ট সরবরাহ করা শাহ্ সিমেন্টের মূল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রযুক্তিগতভাবে বড় একটি ধাপ এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। আমরা এই প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের জন্য এফএলস্মিথকে বেছে নিই, সিমেন্ট প্রযুক্তিতে যাদের রয়েছে ৪০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস