ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে তুলে ধরতে ভূমিকা রাখছে বস্ত্রখাত

বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে তুলে ধরতে বস্ত্রখাত প্রধান রপ্তানি খাত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন, টেকসই উন্নয়ন’, এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’।

গোলাম দস্তগীর গাজী জানান, বাংলাদেশের বস্ত্রখাত বিশ্ববাসীকে চমকিয়ে দিয়েছে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। সামনে যেন এই খাত বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করতে পারে তাই সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ‘ভিশন ২০২১’ অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ এবং ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করেছে সরকার।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর বস্ত্রখাতের যে পরিমান ক্ষতি হয়েছিল, সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠে নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই খাত। বর্তমানে অধিকাংশ কোম্পানি শতভাগ কমপ্লায়েন্স পালন করছে। তৈরি পোষাক শিল্পে উন্নতমানের সবুজ কারখানা (গ্রিন ফ্যাক্টরি) নির্মাণে বিশ্বের প্রথম ১০টি উন্নত মানের কারখানার মধ্যে সাতটি কারখানা বাংলাদেশে অবস্থিত।

জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। এই র‌্যালির নেতৃত্ব দেন মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ।

র‌্যালিটি সকাল ৯টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ি মোড় ঘুরে আবার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালির শুরুতে শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন ওড়ানো হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন