শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনও আয়কর রিটার্ন জমা দেননি অর্ধেক টিআইএনধারী

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পূর্বের ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নাম্বারের (টিআইএন) পরিবর্তে এখন চালু করেছে ই-টিআইএন। বর্তমানে দেশে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বরধারীর (ই-টিআইএন) সংখ্যা ৪৬ লাখেরও ঊর্ধ্বে। প্রতি বছরই সব ই-টিআইএনধারীদের আয় ও ব্যয়ের হিসাব বা আয়কর রিটার্ন পেশ করতে হয়। এর মধ্যে যাদের করযোগ্য আয় আছে, শুধু তাদেরই আয়কর জমা দিতে হয়।

গত ১ ডিসেম্বর ব্যক্তি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা শেষ হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগের প্রাথমিক হিসাবে দেখা যায়, রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা ২২ লাখেরও কম। অর্থাৎ, তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক ই-টিআইএনধারীরই আয়কর বিবরণী জমা দেন নি। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বিভিন্ন আলোচনায় জানিয়েছিলেন, গত কর দিবসে রিটার্ন জমা হয়েছিল ২২ লাখ। সেই হিসাবে এবার রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি বললেই চলে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে জরিমানাসহ বিভিন্ন ধরনের অর্থদণ্ড রয়েছে। তা সত্ত্বেও করদাতার সংখ্যা না বাড়ায় চিন্তিত এনবিআর স্বয়ং।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, করদাতাদের একটি অংশ নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা দিতে না পারায় পরে জমা দেবেন বলে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। এই সংখ্যা লক্ষাধিক। তাদের সম্ভাব্য রিটার্ন দাখিলকারী হিসাব করেই মূল সংখ্যা প্রায় ২২ লাখে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে গত বছর ২২ লাখ বলা হলেও এই সংখ্যা আসলে ২০ লাখের মতো ছিল। সেই হিসাবে এবার রিটার্ন দাখিলকারী বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ সূত্রে আরও জানা যায়, গত বছর আয়কর দিবস পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলের বিপরীতে কর আদায় হয়েছিল ২১ হাজার ৯২০ কোটি টাকা। আর এবার কর আদায় হয়েছে ২৪ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। কর আদায় বেড়েছে ১৩ শতাংশ। অবশ্য এনবিআর আশা করছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল ২৩ লাখ হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবির হল খোলার দাবিতে এখনও অবস্থানে ছাত্র অধিকার পরিষদ

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন