ঈদে টানা ৮ দিন বন্ধ ছিল দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানি-রপ্তানি। এর ফলে দেশে আমদানিকৃত পেঁয়াজের সরবরাহ না থাকায় চাহিদা বেড়ে যায়।
বন্ধের পর রবিবার এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলে একলাফে কেজিতে বৃদ্ধি পায় ১০ টাকা করে। বর্তমানে বন্দরের মোকামে মানভেদে প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩১-৩২ টাকায়।
বন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোর্শেদুর রহমান জানান, বন্ধের আগে মোকামে ২০-২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল পেঁয়াজ। কিন্তু বন্ধের এই কয়দিন দেশে পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় দেশে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসে।
রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ভারতীয় ২৩টি ট্রাকে ৫’শ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়। যা অন্যান্য দিনের তুলনায় খুবই কম। তাই বাজারে চাহিদা থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এসে পেঁয়াজ কেনায় হঠাৎ করেই এই মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৫-৬দিন পর কেজিতে আরও ১০ টাকা করে দাম বাড়বে বলে জানান তিনি।
আরেক ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী জানান, সবেমাত্র পোর্ট চালু হয়েছে। এ কারণে হিলি বন্দর দিয়ে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে চাহিদা বেশি ছিল। ফলে প্রথমদিনেই পণ্যটির দাম বেড়ে যায়।
এদিকে রংপুরের পাইকারি ব্যবসায়ি শহিদুল ইসলাম এবং লালমনিরহাটের লেবু জানান, হিলি বন্দর থেকে ৩১-৩২ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছি। এরপর পরিবহন খরচ আছে এবং কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হবে। তাতে সবমিলে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনা সহ খরচ পড়েছে ৩৫ টাকা দরে। এই পেঁয়াজ ৩৬-৩৭ টাকায় বিক্রি করতে হবে, না হলে লোকসান হবে।
মন্তব্য করুন