পেঁয়াজের ঝাঁঝ শেষ হতে না হতেই এবার ঝাঁঝ বাড়ল চালের বাজারে। গত কয়েক দিনের মধ্যে দেশের বড় মোকামগুলোতে আবারও বেড়েছে চালের দাম। যেখানে চালের প্রকারভেদে প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা বেশিতে। হঠাৎ এমন মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সপ্তাহের ব্যবধানে কোনো কারণ ছাড়াই নওগাঁর পাইকারি বাজারে প্রতি মণ চালের দাম বেড়েছে দেড়শ’ থেকে দুইশ’ টাকা । মোটা চাল একশ’ থেকে দেড়শ’ টাকা বাড়লেও চিকন চালের দর বেড়েছে তারও বেশি। চালের এ দাম বৃদ্ধিকে মিল মালিকদের কারসাজি বলে মনে করছেন ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতারা। তবে মিলারদের দাবি, মৌসুমের শেষে পুরনো ধান কমে আসায় বেড়েছে চালের দর।
হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে নওগাঁর বড় চাল বাজারে। কয়েক দিন ধরে বেচা-কেনায় বেশ টানাপোড়েন চলছে এ বাজারে। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, যা আগে ছিল ২৮ টাকা; জিরা ৪০ টাকা, যা ছিল ৩৭ টাকা এবং কাটারিভোগ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৪৭ টাকা।
নওগাঁর খুচরা বাজারে চাল কিনতে আসা ক্রেতা সম্পা জামান জানান, হঠাৎ করেই চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশ বিপাকের মধ্যে পড়তে হচ্ছে আমাদের। বিশেষ করে আমরা যারা চাকরি করি, তাদের পক্ষে এভাবে চালের দাম বাড়লে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। আর সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হয় নিম্ন আয়ের মানুষদের। আমাদের একটায় দাবি যেকোনো মূল্যে যেন চালের বাজারটা স্থিতিশীল থাকে।
সম্প্রতি সরকার ২৬ টাকা কেজি দরে ছয় লাখ মেট্রিক টন ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই হাট-বাজারে বাড়তে শুরু করেছে ধানের দাম। আর বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে বলেই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে চাল।
আনন্দবাজার/শাহী
মন্তব্য করুন