বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে যমুনা পাড়ের জেলা সিরাজগঞ্জের ৫টি উপজেলার বসতবাড়ি, মাঠ-ঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে জেলায় সবচে বেশি ক্ষতি হয়েছে তাঁত শিল্পের। তাঁত কারখানাগুলো পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে তাঁতের সুতাসহ মূল্যবান বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। বিরাট অংকের লোকসানের শঙ্কায় দুশ্চিন্তার ভাঁজ তাঁত মালিকদের চোখে মুখে।
সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে প্রায় ৫ হাজার তাঁত রয়েছে, যার অধিকাংশ কারখানা এখন বন্যার পানিতে তলিয়ে। পানিতে ডুবে আছে তাঁতের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। দীর্ঘদিন পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে প্রতিটি তাঁতের কাঠ, কলকব্জা আর সুতা।
অনেক তাঁত কারখানায় ঘুরে দেখা যায়, অর্ধেক শাড়ি তৈরি করে পানির কারণে তা সম্পন্ন করতে পারেনি শ্রমিকরা। একই অবস্থা জেলার তাঁত সমৃদ্ধ এলাকা বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলায়। একদিকে ঈদুল আজহার এই মৌসুমে যেখানে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত থাকার কথা সেখানে বন্যার কারণে কারখানাগুলো বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে পানিতে এসব তাঁতের মালামাল নষ্ট হয়ে বিরাট অংকের লোকসান হবে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত তাঁত মালিকরা।
বন্যার কারণে কৃষিসহ যে সকল খাতে সরকারিভাবে প্রণোদনা অথবা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় ক্ষতিগ্রস্ত এসব তাঁতিদের দাবি তাদেরকেও এর আওতায় আনা হোক।
ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতিদের সঠিক তালিকা করে সরকারিভাবে সহায়তা ও পৃষ্ঠপোষকতার দাবি সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি পরিচালক টি এম রিজভীর।
তিনি বলেন, সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে ভর্তুকি, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, ও পৃষ্ঠপোষকতা করা তাহলে বন্যা দুর্গত তাঁতিরা আবার ফিরে আসতে পারবেন।
মন্তব্য করুন