বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে একমাত্র হট টপিক পেঁয়াজ। পেঁয়াজের দাম প্রতিনিয়ত এখন যে হারে বেড়ে চলেছে তা নিয়ে দেশের মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ, হতাস। দেশে এখন প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সরকারের উদ্যোগ, বাণিজ্যমন্ত্রীর আশ্বাস কোনো কিছুতেই এখন আর কোনো কাজ হচ্ছে না। প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে পেঁয়াজ। শুধু দেশেই নয়, এই মুহূর্তে বিশ্ব বাজারে পেঁয়াজের দাম সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকা ছাড়িয়েছে। সারাদেশেও একই অবস্থা বিদ্যমান। যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য!
জানা যায়, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের সংকটকে পুঁজি করে ইচ্ছামতো দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, সংকটকে পুঁজি করার কিছুই নেই। দেশে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দাম বাড়ছে। সরবরাহ বাড়ার সাথে সাথেই দাম কমে যাবে।
শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর ও নিউমার্কেটসহ কয়েকটি খুচরাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ মানভেদে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে গতকাল কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায় পাইকারীতে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে। সে হিসেবে অনুযায়ী প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দাঁড়ায় ২৪০ টাকা। খুচরাবাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ২৭০ টাকায়।
পেঁয়াজ নিয়ে সংকটের কথা জানালেন, আমদানিকারকরা। তারা জানান, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নেই। তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসছে খুবই অল্প। মিয়ানমারেও এখন পেঁয়াজ শেষের দিকে। সেখান থেকে যে পেঁয়াজ আসছে তা বেশিরভাগই পচা এবং নিম্নমানের। আবার দামও অনেক বেশি। তারা আরও জানান শুধু রাজধানীতেই প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা ৬ হাজার টনের বেশি। সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ টন পেঁয়াজ দিয়ে কীভাবে চাহিদা মিটানো যাবে? এজন্যই দাম এভাবে বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, একশ্রেণীর ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে এখন পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে। কারণ, মিশর, মিয়ানমার, তুরস্ক ও চীন থেকে যে দামে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে তাতে দেশের বাজারে কোনোভাবেই পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকার উপরে হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এরপরও এখন সেই পেঁয়াজের দাম ২৬০ টাকার ও উপরে।
আনন্দবাজার/শাহী
মন্তব্য করুন