বকেয়া টাকা পরিশোধ ছাড়া ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করবে না পোস্তার আড়তদাররা। আগামীকাল বাণিজ্য সচিবের সাথে বৈঠকের পর চামড়া বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার আগ পর্যন্ত চামড়া বিক্রি বন্ধ থাকবে।
সকালে বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময় কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে কোরবানির চামড়া বিক্রি বাবদ সাড়ে তিনশ থেকে চারশ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
অন্যদিকে, এ বছর কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এমন অবস্থায় ট্যানারি মালিকদের কাছে আবারো বাকিতে চামড়া বিক্রি করবেন কি-না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেন আড়তদার, ফড়িয়া এবং কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা।
এ সময় চামড়ার বর্তমান সংকটের জন্য ট্যানার্সদের দায়ী করেন বাংলাদেশ হাইড এন্ড স্কিন মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
এদিকে, আজ থেকেই সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনার কথা জানিয়েছিলেন ট্যানারি মালিকরা। আড়তদার ও পাইকারদের কাছ থেকে লবণযুক্ত চামড়া কিনার কথা জানিয়েছিলেন তারা।
তবে আড়তদাররা বলছেন- ৯০ শতাংশ ট্যানারি মালিক এখনো আগের বকেয়া পরিশোধ করেননি।
সরকার নির্ধারিত দামে ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনলে যারা কম দামে চামড়া কিনে সংরক্ষণ করেছেন, তারাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন।
কিন্তু পোস্তার আড়ত মালিকদের দাবি- ন্যূনতম ৫০০ টাকার নিচে তারা চামড়া কেনেননি। এখন লবণ, শ্রমিক মজুরি ও আনুষাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে খুব বেশি মুনাফার সুযোগ নেই তাদের।
অর্থনীতিবিদরাও বলছেন- এবারের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় কম দামে চামড়া কিনেও অতিরিক্ত মুনাফার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন