এ বছর পেয়ারার বাম্পার ফলন হয়েছে ঝালকাঠিতে। তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় চাষীরা। সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করেও স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করতে পারছেন না তারা। এদিকে, জমে উঠেছে ভীমরুলীর খালে ভাসমান পেয়ারার হাট।
শত বছর ধরে পেয়ারার চাষ করে আসছেন ঝালকাঠির পেয়ারা চাষিরা। সদর উপজেলার ভীমরুলীসহ ১৩টি গ্রাম ও পিরোজপুরের স্বরুপকাঠির আটঘর কুড়িয়ানার বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে দেশের বৃহত্তম পেয়ারার বাগান। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার পেয়ারা উৎপাদিত হয় বিস্তৃত এ বাগানে।
ভরা মৌসুম হওয়ায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কাচা পাকা পেয়ারা বাগান থেকে তুলে বাজারে বিক্রির কাজে। ছোট ছোট নৌকায় করে বাগান থেকে পেয়ারা নিয়ে আসেন ভাসমান হাটে। পাইকাররা এই পেয়ারা কিনে নিয়ে যান দেশের বিভিন্ন হাটে। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় সড়কপথেও বাজারজাত হচ্ছে এই পেয়ারা।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পেয়ারা বিক্রি হলেও এখানে তা বিক্রি হয় মাত্র ৫ থেকে ৬ টাকায়। তবে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ চাষিরা।
শুধু পেয়ারা কিনতে নয়, ভাসমান এই পেয়ারার হাট দেখতে আসেন দেশ বিদেশের নানা পর্যটক। কৃষি বিভাগ বলছে, পেয়ারা চাষিদের সুবিদার্থে এখানে একটি হিমাগার নির্মাণ করা হলে উপকৃত হবেন চাষীরা।
মন্তব্য করুন