মার্চ ২২, ২০২৩

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি

‘ছাত্রছাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর’

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর আজকের এই ছাত্রছাত্রীরা।

গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও বিএফডিসি ৮ নম্বর ফ্লোরে পার্বত্য বিতর্ক উৎসব ২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এক বিতর্ক পুরস্কার অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ে তুলতে বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় সোনার ছেলে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপর মন্ত্রী আরও বলেন, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে চলেছে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও সংস্কৃতিসহ কোন দিকেই এখন আর পার্বত্য অঞ্চল পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শিক্ষা বিকাশে সরকার যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে এই অঞ্চল দেশের জন্য এক বিশাল সম্পদে পরিণত হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজিত অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এর সঞ্চালনায় ও পরিচালনায় এ সময় প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক এডুকেশন, স্কিলস ডেভেলপমেন্ট এন্ড মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের  পরিচালক সাফি রহমান খান ও ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মন বক্তব্য রাখেন ।

এ সময় বিচারক মন্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন ৭১ টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক পার্থ সঞ্জয়, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার চিফ রিপোর্টার ও সিটি এডিটর সিনিয়র সাংবাদিক আবুল খায়ের, ডিবিসি টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ইসরাত জাহান উর্মী, লেখক, বিতর্ক সংগঠক ও নাট্যকার অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস এবং চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক নীল মাহবুব।

আরও পড়ুনঃ  সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে জিম্বাবুয়ের পুঁজি ২০৬

এসময় মন্ত্রী বীর বাহাদুর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সুবাতাস বহার পরিবেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন যিনি, তাঁর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে  বলেন, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির পর সুদীর্ঘ সময় ধরে নানাভাবে শোষণ বঞ্চনার শিকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত হয়েছে। দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করা পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আজ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছে। শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নানাভাবে অবদান রাখছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠী। আগামী দিনে যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে তাদের গড়ে তোলার জন্য শুধু সরকার নয় সমাজের সকলের ইচ্ছা, আগ্রহ ও সহযোগিতা কামনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসং এমপি।

মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় এ সরকার আগামি ২৩শে জুনের মধ্যে ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারকে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুত বিতরণ কাজ সম্পন্ন করবে। এ সরকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করবে। মন্ত্রী বীর বাহাদুর পার্বত্য অঞ্চলের কৃষি উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের এক ইঞ্চি জায়গাও পতিত ফেলে রাখা হবে না। উৎপাদনের দিক দিযে কৃষিক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন এনে দিবে বাংলাদেশের এক দশমাংশ আয়তনের এই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষেরা। কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে সেচনালা, পাওয়ার পাম্প, পাওয়ার টিলার, ধান মারাই মেশিনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রমাণ করে দেব পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য বোঝা নয়, পার্বত্য অঞ্চল দেশের জন্য একটা সম্পদ।

আরও পড়ুনঃ  আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য বিতর্ক উৎসব-২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতিযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি মাধ্যমিক বালিকায় বিদ্যালয় এবং রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় অংশ নেয়। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় বিজয়ী দলের দলনেতা সুজাতা চাকমা। পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ই-পেপার
প্রথম পাতা
খবর
অর্থ-বাণিজ্য
শেয়ার বাজার
মতামত
বিশ্ব বাণিজ্য
ক্যারিয়ার
খেলার মাঠ
প্রযুক্তি বাজার
শিল্পাঞ্চল
পণ্যবাজার
সারাদেশ
শেষ পাতা