দেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ অর্থাৎ ৮০ শতাংশের বেশি আসে তৈরি পোশাক থেকে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তা ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে যায়।
তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রথম চার মাসের তুলনা করে দেখাযায় গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে গেছে। ঠিক একইভাবে কমে গেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানিও। এসব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সামগ্রিক রফতানিতে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য বলা হয়েছে, প্রতিযোগী দেশগুলো ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রা অবমূল্যায়ন করেছে। এর জন্য তাদের মূল্য সক্ষমতা বেড়েছে। এ কারণে অনেক ক্রয়াদেশে এখন বাংলাদেশে না এসে প্রতিযোগী দেশগুলোর দিকে চলে যাচ্ছে। ক্রয়াদেশ ঘাটতিতে তৈরি পোশাকের রফতানি কমছে।
ইপিবির হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১ হাজার ৫৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য রফতানি হয়েছে। বিপরীতে এ পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রার ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০২ কোটি ৯২ লাখ ডলার। যেখানে গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায়ও সাড়ে ৬ শতাংশের বেশি কমেছে তৈরি পোশাকের রফতানি।
রফতানি খাতসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ভিয়েতনাম ক্রয়াদেশের ন্যায্য অংশ পাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ও ভারতেও ক্রয়াদেশ সরে যাচ্ছে। সবগুলো দেশই এ খাতের রফতানিতে প্রণোদনা ও বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।
আনন্দবাজার/এম.কে
মন্তব্য করুন