আন্তর্জাতিক বাজারে পোশাক ক্রয়-বিক্রয় প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা নিশ্চিতে কাজ করছে নেদারল্যান্ডস সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশন। পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে দরকষাকষির একটি উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ পদ্ধতির প্রচারণা চালাচ্ছে তারা।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে লেবার মিনিটস কস্টিং অ্যান্ড প্রাইস নেগোসিয়েশনস উইথ বায়ার্স শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। প্রতিপাদ্য বিষয়ে সেমিনারে পেশ করা উপস্থাপনায় ক্রেতার পক্ষ থেকে মূল্যচাপ ও ক্রয়াদেশ ধরতে সরবরাহকারীদের মানসিকতাসংক্রান্ত সমীক্ষার তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
২০১১ সালের তুলনায় ২০১৬ সাল শেষে বাংলাদেশের রফতানি করা পোশাকের মূল্য কমেছে ৭ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ইউরোপের বাজারে পোশাকের মূল্য কমেছে ৯ দশমিক ৪ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
এই ধারাবাহিকতায় উৎপাদন ব্যয়ের চেয়েও অনেক কম দামে ক্রেতার কাছে পোশাক বিক্রি করেন তারা। একাটি সমীক্ষায় দেখা গিয়াছে, ভবিষ্যৎ কার্যাদেশের সুরক্ষা নিশ্চিতে ৫০ শতাংশের বেশি কারখানা উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে কমে পোশাক বিক্রি করে।
ক্রেতাদের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত মূল্য কমানোর চাপ অব্যাহত আছে এমন তথ্য জানিয়ে ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশন বলছে, পর্যালোচনা শেষে বাংলাদেশের নতুন মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা হলেও ক্রেতারা তার সঙ্গে সমন্বয় করে পোশাকের দাম বাড়ায়নি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বরাতে সংস্থাটি দাবি করছে, বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয় করে এমন ২৫ শতাংশ ক্রেতা পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বাকি ৭৫ শতাংশ দাম বাড়ায়নি।
মন্তব্য করুন